অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ও বেঁধে রেখে সোনার গয়নাসহ মালামাল লুট

ঝিনাইদহে দুটি গ্রামের তিনটি বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের হানা

ডাকবাংলা/বাজারগোপালপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া-নাথকু-ু সীমান্তবর্তি দুইটি গ্রামের তিনটি বাড়িতে ডাকাতদল হানা দিয়ে ডাকাতি সংঘটিত করেছে। পরশু বুধবার দিনগত রাতে বাদপুকুরিয়া গ্রামে ২টি এবং নাথকু-ু গ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাতদল প্রবেশ করে এবং সোনা-রূপার গয়না নগদ অর্থসহ তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে সকালে পাশের ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং গ্রামবাসী ও ডাকাতির শিকার পরিবারের লোকজনের নিকট ডাকাতির বিবরণ শোনেন।
গ্রামবাসী জানান, ঝিনাইদহ জেলা সদরের সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুরিয়া গ্রামের মাঠপাড়ায় পরশু বুধবার দিনগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ১৫-২০ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল হানা দিয়ে সোনা, রূপার গয়না এবং নগদ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। ডাকাতির শিকার গৃহকর্তা জয়নাল ম-লের ছেলে আবেদ আলী ম-ল জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সংঘবদ্ধ কয়েকজন বাড়িতে প্রবেশ করে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলেন। এরপর তারা ঘরের ভেতর জনৈক ব্যক্তির অস্ত্র রাখা আছে অজুহাতে ঘরে প্রবেশ করে। কিন্তু কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর তারা সোনার দু’জোড়া কানের দুল, ২টি আংটি, ২টি মোবাইল ও নগদ প্রায় ২১ হাজার টাকাসহ আনুমানিক ৭০-৭৫ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
এরপর তারা প্রবাসি ফজলুর রহমানের ছেলে ইদ্রিস আলির বাড়িতে প্রবেশ করে। প্রবাসির মেয়ে শেফালি খাতুন জানান, মনে হচ্ছিলো আমারই এক মামা নাম ধরে চিৎকার করে ডাকছে। দরজা খুলতেই দেখি বাড়ির মধ্যে ৮-১০ জন লোক। তারা ধারালে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কাপড় দিয়ে সকলকে বেঁধে রাখে। এরপর সোনার এক জোড়া কানের দুল, দু’টি টিকলি, রূপার এক জোড়া কানের দুল, একটি পেটি, এক জোড়া চুড়ি, দু’টি মোবাইল, নগদ ৫৫ হাজার টাকাসহ দেড় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।
অপর গৃহকর্তা পাশের নাথকু-ু গ্রামের ছামছদ্দিনের ছেলে আবুবকর। তিনি জানান, রাতে আমি ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত আনুমানিক ৩টা হবে। মনে হচ্ছিলো পরিচিত কেউ যেনো ডাকছে। ঘরের দরজা খুলতেই দেখি বাড়ির মধ্যে ১৫-২০ জন লোক। দরজার পাশেও কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে। তারা পার্টির লোকজন বলে পরিচয় দিয়ে আমাকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখি জিম্মি করে দু’ জোড়া কানের দুল, তিন’টি মোবাইল, নগদ ৩শ’ টাকাসহ অর্ধলাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। তারা আরও জানান, বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবার পর কেউ চিৎকার করলে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। বেশ কিছুদিন পর আবার ডাকাতির ঘটনা গ্রামবাসীর মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ডাকাতির খবর শুনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যা ঘটনাস্থলে যান এবং ডাকাতি ঘটনার বিবরণ শোনেন। এ বিষয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ হাসানুজ্জামান ডাকাতি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।