অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ

মাথাভাঙ্গা ডেক্স: বিএনপির চেয়ারর্পাসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের দিনধার্য করেছে আদালত। এ রায়কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের মতো অস্ট্রেলিয়া বিএনপি নেতাকর্মীরাও উদ্বিগ্ন। তারা মনে করেন, বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি সংসদ নির্বাচন করে একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত করতেই আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করতে চায়। আদালতের ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়। এ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ গত ৫ ফেব্রুয়ারি রোজ দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে এবং সাড়ে ১২টায় অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। সিডনি থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে ক্যানবেরায় ফেডারেল পার্লামেন্ট এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে নেতৃবৃন্দ ‘আমার নেত্রী আমার মা বন্দী হতে দিবো না’ ও ‘সেভ বাংলাদেশ সেভ গণতন্ত্র’ স্লোগান সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুস নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
সে সময় অস্ট্রেলিয়া বিএনপির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ব্যাড দিয়ে আবারও পাতানো নির্বাচনের অপচেষ্টা আমরা প্রবাসী নেতৃবৃন্দ সফল হতে দেবো না। বাংলাদেশের লক্ষ্য-কোটি জিয়ার সৈনিক বেঁচে থাকতে এ কূট কৌশল কখনও সফল হতে দেবে না। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বরাবর অস্ট্রেলিয়াস্থ হাইকমিশনারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা মামলায় কোনো হস্তক্ষেপ না করে এবং শীঘ্রই এ মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দিয়ে দ্রুত বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
লিয়াকত আলী স্বপনের সভাপতিত্বে ওই বিক্ষোভ সমাবেশে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মনিরুল হক জর্জ, প্রফেসর ড. হুমায়ের চৌধুরী রানা, মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ, ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুল ইসলাম, ডা. আব্দুল ওহাব বকুল, আরিফুল হক, হাবিব মোহাম্মদ জকি, রুহুল আহম্মেদ, আবুল হাছান, তারিক উল ইসলাম তারেক, সোহেল ইকবাল মাহমুদ, আশরাফুল আলম রনি, খাইরুল কবির পিন্টু, জাকির আলম লেলিন, আবুল কাশেম, মিতা কাদরী, ফেরদৌস অমি।
ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান এবং এএনএম মাসুমের উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহীদ পারভেজ, ফরিদ আহম্মেদ, রেজাউল হক, জসিম উদ্দিন, মাসুদ রানা, আরমান হোসেন ভুঁইয়া, সোহেব জাহাঙ্গীর, সাইমুম বিন শামস, মোহাম্মদ জুম্মান হোসেন, আলামিন জকি, আলহাজ মোহাম্মদ ইউছুফ আলী, মাহবুবুর রহমান, কামাল হোসেন, নাসিমা শারমিন, কেএম মুনসুর খালিদ, কেএম মঞ্জুরুল হক, আকারুল ইসলাম, সায়মা বিনতে ইসলাম ও রানা রহমান।