অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার : শোভাযাত্রায় গ্রামবাংলার ছোঁয়া

লা বোশেখে প্রভাতের আলো ফোটার সাথে সাথে উত্সবে মেতে ঠে পুরো জাতি : চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বর্ষবরণ

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: পয়লা বোশেখে প্রভাতের আলো ফোটার সাথে সাথে উত্সবে মেতে ওঠে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশ। পুরো বাঙালি জাতি বর্ষবরণ করেছে উৎসবের আমেজে। শুভ সম্ভাবনার নতুন দিন আনবার প্রত্যাশায় প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতেছিলো সবাই; কিন্তু পয়লা বোশেখ জাতির জীবনে আসে দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে। অশুভ শক্তি, সহিংস রাজনীতি, দেশ ধ্বংসের চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে পালিত হলো এবারের নববর্ষ।

DSC07321

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে গানে, গানে শুভ সম্ভাবনার প্রত্যাশায় আর অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে মানুষ। দেশের বিগত তিন মাসের সহিংসতা আর ধর্মরক্ষার নামে যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প চলছে চারপাশে তারই প্রতিবাদ উঠে এলো চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রায়। চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত সম্মিলিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাও ছড়িয়েছে ষলোআনা বাঙালি আনার রং। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছিলেন অগ্রভাগে। সকলেরই কাঁধে ছিলো গামছা। এ শোভাযাত্রায় পৌরসভা, বাংলাদেশ দোকানমালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা, পরিবেশক সমিতি, জাতীয় মহিলা সংস্থা, আত্মবিশ্বাস, ইম্প্যাক্টসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক পৃথক ব্যানার নিয়ে অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অরিন্দম নিখরচায় রক্তের গ্রুপ এবং রক্তদানের আয়োজন করে। অপরদিকে চলে কবিতা আবৃত্তিসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়ে জেলা প্রশাসক বর্ষবরণের গুরুত্ব তুলে ধরে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ নিজস্ব আঙিনায় কবিতা আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বরণ করে নতুন সন। দর্শনার সম্মিলিত শোভযাত্রা এবারও আয়োজকদের সৃষ্টিশীলতার স্বাক্ষর রেখেছে। শোভযাত্রায় ধানের আবাদ, সেচ যেমন ঠাই পেয়েছে, তেমনই সেখানে চলমান ভ্যানে বসেই গ্রাম্য এক কৃষকের দাঁড়ি কামিয়েছেন। আর ঢেকি দিয়ে ধান ভানতে ভানতেও দর্শনা কলেজ মাঠ থেকে শোভযাত্রাটি দর্শনা বাজার কেরুজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়েছে। এ শোভাযাত্রায় আস্ত একটা খেঁজুর গাছ যেমন ছিলো তেমনই গাছে বসে গাছও কেটেছেন গাছি। শোভাযাত্রা জুড়েই ছিলো গ্রামবাংলার চিত্র। যে কেউ দেখেই বলেছে, চমৎকার। এ না হলে বর্ষবরণ। একইভাবে মেহেরপুরেও বর্ণাঢ্য শোভযাত্রায় আহ্বান করা হয়েছে অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। মেহেরপুরের গাংনী? সেখানেও শোভাযাত্রায় ছিলো নতুন বৌকে নিয়ে ভাঙা বাক্স বাইসাইকেলে বেঁধে বরের ছোটা গ্রামবাংলার চিরচেনা ছবি। মুজিবনগর, আলমডাঙ্গা, জীবননগর, দামুড়হুদাসহ এমন কোথাও ছিলো না যে, যেখানে বর্ষবরণের আয়োজনে কমতি ছিলো। এদিকে চুয়াডাঙ্গা বিজিবি সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্ষবরণের মেলার আয়োজনের পাশাপাশি অতিথি আপ্যায়নেও স্থাপন করেছে দৃষ্টান্ত। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের বাড়ির আঙিনায় ফুলবাগানের ফাঁকে ফাঁকে বর্ষবরণের আয়োজন যেনে প্রশাসনের আন্তরিকতার নজির কেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, ৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা উপস্থিত থেকে আয়োজনকে পূর্ণতা দেন। জেলা পুলিশ সুপারের আয়োজন ছিলো তার বাসভবনের ফুলবাগান ভরা আঙিনায়। পান্তা-ইলিশই শুধু নয়, বাঙালির হরেক রকমের খাবারে অতিথি আপ্যায়নের পাশাপাশি সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় সকলেই তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। হুইপসহ অনেকেই এ আয়োজনে অংশ নেন।

পয়লা বোশেখে চুয়াডাঙ্গার শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রায় সকলেরই প্রথম নজর থাকে ঝিনুক বিদ্যাপীঠের আঙিনায় মুকুল ফৌজের অনুষ্ঠানমালায়। ঢাকার যেমন ছায়ানট, তেমনই চুয়াডাঙ্গার মুকুল ফৌজ দীর্ঘদিন পয়লা বোশেখের প্রভাতে প্রথম আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণের যেন সূচনা করে। চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে এবারও পৌরসভার উদ্যোগে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ মেলার উদ্বোধন করেন হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি। পাশে ছিলেন পুলিশ সুপার, পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সকলে। এ মেলায় বিনোদনের সবই উপস্থিত। দুপুর থেকে মেলায় উপচেপড়া দর্শকের ভিড় জমে। রাতেও ছিলো দর্শক স্রোতার ঢল। ৬ বিজিবির উদ্যোগে সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত মেলা সকাল ৮টায় শুরু হয়। রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। বিজিবি-৬’র পরিচালক অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্ত সময় কাটান। মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জোয়ার্দ্দারের বাউল একাডেমীর শিল্পীদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে জমিয়ে তোলেন আয়োজন। সাপ নিয়ে ঝাঁপানেরও আয়োজন ছিলো সেখানে। শিশু একাডেমী চুয়অডাঙ্গার উদ্যোগে শিশু আনন্দমেলার আয়োজন করা হয়। লোকনৃত্য, হাডুডুসহ আনন্দ মেলায় শিশুরা মেতে ওঠে। তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আফসানা ফেরদৌসী।

চুয়াডাঙ্গায় সাধুর সাধ বাজার এবং মল্লিক বাবা ও তুষ্ট শাহ’র বাউল মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৃথক দুটি স্থানে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাধুর সাধ বাজার অনুষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার শ্মশানঘাট সংলগ্ন শোলির হাটে এ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। সভাপতিত্ব করেন মল্লিক বাবা তুষ্ট বাবা ও খডে বাবা কমিটির সভাপতি আলাল উদ্দীন।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ে সাহেব বাংলোয় মল্লিক বাবা ও তুষ্ট শাহ’র বাউলমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন যুবলীগ নেতা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের চুয়াডাঙ্গার ইউএনও জমির উদ্দীন খান। সভাপতিত্ব করে মহসিন হক রনি।

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কার্পাসডাঙ্গা সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের ৩ দিনব্যাপি মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ। তিনি বলেন, মাদক ও অপসংস্কৃতিকে না বলুন; সুস্থ সংস্কৃতি সুস্থ মস্তিষ্কের সৃষ্টি করে। আমরা মাদক ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গত মঙ্গলবার বিকেলে তিনি কার্পাসডাঙ্গায় বোশেখি মেলার উদ্বোধন করেন।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অ্যাকশন ইন ডেভেলপমেন্ট এইড চুয়াডাঙ্গা এরিয়ার পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন পালন করা হয়। কর্মসূচি সমন্বয়কারী মো. মনিরুজ্জামান ও ব্র্যাঞ্চ কোঅর্ডিনেটর মো. মতিয়ার রহমানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা এরিয়া, চুয়াডাঙ্গা সদর, আসমানখালী, মুন্সিগঞ্জ, মেহেরপুর ও জীবননগর শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত বাংলা নববর্ষ পয়লা বোশেখ। ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়, সোহরাওয়ার্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠ, উদীচী ডিঙ্গেদহ শাখা, জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য ৱ্যালি ডিঙ্গেদহ বাজারসহ এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অপরদিকে বেলা ১১টার সময় ডিঙ্গেদহ বাজারের উদীচীর আয়োজনে পান্তাভাতের উৎসব ও বাউল গানের আসর বসে। উদীচী ডিঙ্গেদহ শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উদীচী জেলা শাখার সম্পাদক জহির রায়হান, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. আ. হান্নান, আবু সাইদ বিশ্বাস, আ. ছাত্তার, আসমা চুমকি, আজিম হোসেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে মুরব্বিদের মাঝে তোয়ালে বিতরণ করা হয়। গ্রামের কৃতীসন্তান ডা. এমএ রশীদের উদ্যোগে ডা. মিজানুর রহমান, ইঞ্জিনিয়র মাসুদ রানা, ব্যাংকার মাজহারুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমানের আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় দেড়শ জনের মধ্যে তোয়ালে বিতরণ করা হয়।

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুন্সিগঞ্জের মাদারহুদা বটতলায় প্রতিবারের ন্যায় এবারো বসে মেলা। সন্ন্যাসীদের বড়শি পিঠে বেঁধে চড়ক পূজা দেখার ঢল নেমেছিলা সেখানে। এ আয়োজনকে ঘিরে বসেছিলো বিভিন্ন মিষ্টি ও খেলনাসহ পরিবারের আসবাবপত্রের দোকান। এছাড়া সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ পয়লা বোশেখের নানা কর্মসূচি পালন করে।

ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা ভালাইপুর মোড়ে কুঠিবাড়িতে ভান্ডারি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ৱ্যালি আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফিতে কেটে ভান্ডারি ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন। বিকেলে কুঠিবাড়ীর উন্মুক্ত মঞ্চে জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগ নেতা চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালীম মণ্ডল, জেলা যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম ফকা, গোলাম মোস্তফা লালা, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রশীদ মাসুম, দেলোয়ার হোসেন দিপু, জাকারিয়া গোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমির হোসেন, গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মআহ্বায়ক আবু তাহের আবু, চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক টুকু, যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান লালন, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হক ঝন্টু, মোফাজ্জেল হোসেন, খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলু, গাংনী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ।

আলমডাঙ্গা ব্যরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য বোশেখি শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন অংশ নেয়। ৱ্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনে পান্তা-ইলিশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। উপজেলা নিবাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াকুব আলি মাস্টার, সহসভাপতি মজিবার রহমান, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফুর রহমান, বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মহিদ, মাসুদ রানা তুহিন, যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক শাহিন রেজা শাহিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এইচ এম শামিমুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা আবু হাসান, সমাজ সেবা অফিসার আবু তাবেল, পিআইও মিজানুর রহমান, যুব উন্নয়ন অফিসার জাকির হোসেন প্রমুখ। দুপুরে হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলমের বাসভবনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২২ উদযাপিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দামুড়হুদা স্টেডিয়াম মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার চত্বরে শেষ হয়। আ. ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শেষে দর্শনার জয়নগর, চিৎলা কদমতলা ও মোক্তারপুরের লাঠিখেলার দল লাঠিখেলায় অংশ নেয়। দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রমুখ লাঠিখেলা উপভোগ করেন। লাঠি খেলায় দর্শরার জয়নগরকে ১ম, চিৎলা কদমতলাকে ২য়, মোক্তরপুরকে ৩য় এবং শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চিৎলা কদমতলা ব্যস্ত সংঘকে ১ম, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ২য় ও আ. ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজকে ৩য় পুরস্কারসহ অংশগ্রহণকারী সকল সংগঠনকে পুরস্কৃত করা হয়।

নতিপোতা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নতিপোতা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজিজ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বেড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং বহিরাগতরাও কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণ করে। বিকেল ৪টার দিকে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সাবেক মেম্বার লিয়াকত আলী, হুমায়ন ভুট্টো, রেজাউল হক, সাংবাদিক জহির রায়হানসহ প্রমুখ।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, ৱ্যালিতে অংশ নেয়- দর্শনা সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। সন্ধ্যায় অনির্বাণ থিয়োটারের আয়োজনে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতায় সম্মিলিত প্রথম পুরস্কার পেয়েছে দর্শনা রামাযুস, সাধারণ প্রথম বড়দের মধ্যে প্রত্যয় যুবসংঘ, ২য় হয়েছে পুরাতন বাজার দোকান মালিক সমিতি। পুরস্কার বিতরণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসক দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য ৱ্যালি বের করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল ও ইউএনও নুরুল হাফিজ ৱ্যালিতে নেতৃত্ব দেন। ৱ্যালি শেষে পান্তা-ইলিশ পরিবেশন করা হয়। নববর্ষবরণ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন উপজেলা ক্যাম্পাসে ৭ দিন ব্যাপি বোশেখি মেলাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করেছে। এছাড়াও মিনাজপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষবরণ করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজার নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য ৱ্যালিটি এলাকা প্রদক্ষিণ করে। রাতে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। ইত্যাদিখ্যাত আকবর আলী এখানে গান পরিবেশন করেন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে গিয়ে শেষ হয়। জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন, জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাজেদুর রহমান খান, পৌর মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহমেদ, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, আ.লীগ নেতা মো. আসকার আলী, আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, আব্দুল হালিম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কেএম আতাউল হাকিম লাল মিয়াসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছে, উপজেলা পরিষদের আয়োজনে বর্ষবরণ ৱ্যালিতে অংশ নেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গাংনী উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনার থেকে বর্ণাঢ্য ৱ্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। উপস্থিত ছিলেন মহিলা এমপি সেলিনা আকতার বানু, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, ইউএনও আবুল আমিন, পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও হাজি মহসিন আলী।

পান্ত খাওয়ার পরে গাংনী ফুটবল মাঠে বৈশাখী মেলা ও লোকজন উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা এমপি সেলিনা আকতার বানু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকনসহ নেতৃবৃন্দ।

এদিকে প্রগতি ক্লাবের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়। সাহারবাটি চারচারা প্রাঙ্গণে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন। অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সঙ্গীত পরিবেশন করেন টেলিভিশন ও বেতারের শিল্পীগণ। উদ্বোধন শেষে গরিব ও দুস্থদের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন।

অপরদিকে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মুখে মিষ্টি তুলে দিয়ে নতুন বছরের শুভ কামনা করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বুলবুল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দাল হক, গাংনী উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

বাইসাইকেলের টিংটিং বেলের শব্দ। পথচারীরা পেছন ফিরে হতবাক। বাইসাইকেলের সামনে বসা নতুন বউ। বাইসাইকেল চালক বর। বর-কনে বিয়ের পোশাকে সজ্জিত। বাইসাইকেলের পেছনে রয়েছে একটি পুরাতন জরাজীর্ণ টিনের বাক্স। বাক্স নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। তবে বাক্সের উপরে যৌতুকের মালামাল লেখা বাক্যটি দেখলেই সহজেই অনুমেয় বাক্সের মধ্যে কি আছে। হ্যাঁ বিয়ে করে শুধু বউ-ই পাননি পেয়েছেন যৌতুকও। বর-কনেকে খাতির করছেন ঘটক। মিষ্টি পান চিবাতে চিবাতে ঘটক মশাই ছাতা ধরে বর-কনের ছায়া দিচ্ছেন। তার মাধ্যমে কেউ বিয়ে করলে এমন যৌতুক পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘটকের ফিক করে হাঁসি। গ্রামবাংলার বিয়ের এমন ঐতিহ্যবাহী দৃশ্য ফুটিয়ে তুলে দর্শকদের মন কেড়েছেন মেহেরপুরের গাংনী চৌগাছা দৃষ্টান্ত গোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্য। পয়লা বোশেখে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ৱ্যালিতে বর-কনের এ দৃশ্য দর্শকদের নির্মল আনন্দ দিয়েছে।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগরে মঙ্গল শোভযাত্রা করেছে উপজেলা জেলা প্রশাসন। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুন কুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী আ. সালেক, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনিতীবিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালিত হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের ওয়াজির আলী হাইস্কুল মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের পুরাতন ডিসিকোর্ট চত্বরে ১৫ দিনব্যাপি বোশেখি মেলার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।

মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, উপজেলার ফুতেপুর ইউপির গাজীরননেছা বালিকা বিদ্যালয়ে পান্তা ইলিশের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে বিদ্যালয় চত্বরে আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি নবী নেওয়াজ। বক্তব্য রাখেন- যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক মাহাবুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগ নেতা আজিজুল হক আজা, হাশেম আলী পাঠান, মীর সুলতানুজ্জামান লিটন, ডা. রওশোন আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন। এদিকে মহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠানে এমপি নবী নেওয়াজ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছিমা খাতুন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ইবি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পয়লা বোশেখ উদযাপিত হয়েছে। বোশেখকে বরণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিভিন্ন বিভাগ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোয়া ১০টায় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় গ্রামীন ও বাঙালির সংস্কৃতি ঐতিহ্য তুলে ধরতে ঘোড়ার গাড়ি, পালকি কাঁধে বেহারা, কলসি কাখে নববধূ, জেলে, বাঘ, সিংহ, হাতি, ঘোড়াসহ বিভিন্ন জীব জন্তুর মুখোশ পরে শিক্ষার্থীরা নাচ, গান আর উল্লাস মেতে ওঠে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকারের নের্তৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রশাসন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় উপাচার্য সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান, ব্যবস্থাপনা এবং অর্থনীতি বিভাগ দিনব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এছাড়া পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে ইবি ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সংগঠন ধ্রুবতারা।

বাংলা নববর্ষ অথচ গান বাজনা হবে না কল্পনায় করা যায় না। আর সেই গান যদি পরিবেশিত হয় উপাচার্য ও উপউপাচার্যের কণ্ঠে তা কতোই না ভালো হয়। তেমনি ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার পরিসংখ্যান বিভাগ আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান। বক্তব্য শেষ করে তিনি স্বচিত একটি গান পরিবেশন করে শিক্ষার্থীদের শোনান। উপউপাচার্যের অনুরোধে টিএসসিসির সাবেক পরিচালক ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আ.ন.ম রেজাউল করিম একটি গানের কয়েকটি লাইন তিনি পরিবেশন করেন।

হালসা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়ন জাসদ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারুন-অর-রশিদ ও জাসদের নেতৃবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে আয়োজন করেন। হারুন-অর-রশিদের সাথে ছিলেন আমবাড়িয়া ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন আহমেদ শিলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মুসা, জাসদ নেতা জাকির মালিথা, জাসদ নেতা হামিদুল ইসলাম, কুর্শা ইউপি জাসদ নেতা জহুরুল ইসলাম, যুব জোটের আহ্বায়ক ইদ্রিস মাহমুদ, হালসা কলেজ জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন মুসা, সাধারণ সম্পাদক মামুনুজ্জামান রিয়ন, ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান। এছাড়াও ওমর মণ্ডল, সিরাজ মেম্বার, ফজলুর রহমান মণ্ডলসহ আরো অনেক নেতাকর্মী শোডাউনে অংশগ্রহণ করেন।