অবৈধ পন্থা অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে

চুয়াডাঙ্গায় আসন্ন জেএসসি ও সমমান এবং বোর্ড সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ১ নভেম্বর বুধবার থেকে দেশব্যাপী শুরু হবে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। বাংলা প্রথমপত্রের মধ্যদিয়ে শুরু হবে পরীক্ষার প্রথম দিনের আনুষ্ঠানিকতা। এবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ঠিক কতোজন শিক্ষার্থী অংশ নেবে? জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট শাখায় কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওই তথ্য সরবরাহ না করায় তা জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। বিশেষ করে প্রশ্ন ফাঁস রোধ, পরীক্ষা কেন্দ্রে নিরাপত্তা ও নকল মুক্তকরণের বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় আসন্ন জেএসসি ও সমমান এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) নবম শ্রেণির বোর্ড সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ওই সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ফরহাদ আহমদ ও সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) আহসান হাবিব। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি দে, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত মান্নান, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক, জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ।
সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ জানান, সুষ্ঠু পরিবেশে যেন প্রতিটি পরীক্ষা সম্পন্ন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো পরীক্ষার্থী মোবাইল ও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বহন করতে পারবে না। প্রশ্নপত্র খোলার সময় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ ও অবস্থান সংরক্ষিত করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ এমন হওয়া উচিত যেখানে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ প্রয়োজন হবে না। আগামীতে এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা। তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার সংবাদ সংগ্রহে আগ্রহী সাংবাদিকদের জেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এবং উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পরীক্ষা শুরুর অন্তত একদিন পূর্বে এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে। পরে পরীক্ষায় সংবাদ সংগ্রহে আগ্রহী সাংবাদিকদের জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন থেকে পরিচয়পত্র সরবরাহ করা হবে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সরবরাহ করা পরিচয়পত্র ছাড়া কোনো অবস্থাতেই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। আর সংবাদ সংগ্রহের পূর্বে কেন্দ্র সচিবের অনুমতি নিতে হবে। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চান প্রধান অতিথি।
এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্র এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি, কেন্দ্রে মোবাইল বহনকারী শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, সুশৃঙ্খল ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ, প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা, পরীক্ষা কক্ষের পরিবেশ, শিক্ষকদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনসহ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন অতিথিবৃন্দ।