অবশেষে হরিণাকুণ্ডুর রহিম অপহরণ নাটকের অবসান

 

 

হরিণাকুন্ডু প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর মাদরাসাছাত্র রহিম (১১) দীর্ঘ এক সপ্তাহ লাপাত্তা থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্ধারের মধ্যদিয়ে অপহরণ নাটকের অবসান ঘটেছে। উপজেলার খলিশাকুণ্ডু গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে রহিম গ্রামের কওমী মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। কিন্তু শনিবার থেকে রহিমকে মাদরাসা বোডিং থেকে লেখাপড়া করার জন্য তার মা কড়াকড়ি আরোপ করেন। রহিম মায়ের শাসনের ভয়ে শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে পিতার বাইসাইকেল নিয়ে বের হয়ে যায়। সে কুলবাড়িয়া বাজার হয়ে হরিণাকুণ্ডু ঝিনাইদহ রোড ধরে রাতে ঝিনাইদহে এক বাড়িতে রাত্রিযাপন করে। পরদিন সেখান থেকে সাইকেলযোগে আবারো ঝিনাইদহ যশোর রোড ধরে শনিবার আছর নামাজের দিকে যশোরের কুলপাড়া সুরূচি হোটেলের সামনে উপস্থিত হয়। হোটেল মালিকের নিকট সে কাজ করার জন্য আবদার করে। সুন্দর চেহারার অধিকারী রহিমকে হোটেল মালিক নামমাত্র কাজের বিনিময়ে দিনে হোটেলে রাখলেও রাতে নিজের বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সাথে সাথে তার নিজের নাম পরিচয় উদ্ধার করার জন্য প্রতি নিয়ত চেষ্টা চালাতে থাকেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার রহিম একটি মোবাইল নম্বর দিলে সে নাম্বারে কল করে তার মায়ের সাথে কথা হয়। সাথে সাথে হরিণাকুণ্ডু থানাও রহিমের অবস্থানের বিষয়টি অবহিত করেন হোটেল মালিক। হরিণাকুণ্ডু থানা খবর পাওয়ার সাথে সাথে সেকেন্ড অফিসার এসআই গোলফামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম নিখোঁজ রহিমের পিতামাতাসহ যশোর গমন করে। সেখান থেকে রহিমকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের অফিসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানের নিকট জবানবন্দিকালে সে মায়ের ওপর অভিমান করে নিজ ইচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে যায় বলে জানায়। হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল কবীর চৌধূরীর নিকট জবানবন্দিকালেও একই বক্তব্য দেয় বলে উদ্ধারকারী পুলিশ অফিসার গোলফাম মিডিয়াকে জানান।

এদিকে রহিম অপহরণের অভিযোগে হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন গ্রাম থেকে বুধবার পাঁচজন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পরদিন কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অবশেষে রহিম উদ্ধারের মধ্যদিয়ে নিরপরাধ পরীক্ষার্থীরা অপহণের দায় থেকে মুক্তি পাবে বলে সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করে।