অবশেষে কারাগারে মারা গেলেন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ভাংবাড়িয়ার আদমব্যবসায়ী সিরাজুল

আসমানখালী/হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি: শেষ পর্যন্ত কারাগারে স্ট্রোক করে মারা গেলেন আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া গ্রামের ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আদমব্যবসায়ী সিরাজুল। তিনি মেহেরপুর জেলা কারাগারে অবস্থান করছিলেন বলে জানা যায়। বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে পালিয়ে বেড়ানোর অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে বিজ্ঞ আদালত সিরাজুল ইসলাম ও তার ছেলে মিনারুল ইসলামকে ৩ বছর করে কারাদ-াদেশ ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ দণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। গত ২৯ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাদেরকে গাংনী উপজেলা থেকে আটক করে কারাগারে পাঠান।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া রাধানগর গ্রামের মৃত শাহাজান উদ্দীন মালিথার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৫) ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে মিনারুল ইসলাম (৩০) এলাকার চিহ্নিত আদম দালাল। কয়েক বছর পূর্বে তারা পিতা-পুত্র বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে পার্শ্ববর্তী গাংনী উপজেলার ত্রাইল গ্রামের কাফিরুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাকের নিকট থেকে বেশ কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর গাঢাকা দেয়। উপায়ান্তর না পেয়ে প্রতারিত যুবকদ্বয় মেহেরপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত পিতা-পুত্র দুজনকেই ওই মামলায় ৩ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ, ৫ হাজার করে জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-াদেশ প্রদান করেন। ওই মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে তারা দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানার এসআই সাখাওয়াত ও এসআই গিয়াস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গাংনী উপজেলার শালদা বাজারে অভিযান চালিয়ে কৌশলে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, পরদিন সংশ্লিষ্ট মামলায় তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন। গ্রেফতারের পর থেকে তারা মেহেরপুর জেলা কারাগারে অবস্থান করছিলেন। গতপরশু ১৯ জানুয়ারি সিরাজুল ইসলাম ও তার ছেলে মিনারুল ইসলামকে পরিবারের লোকজন কারাগারে দেখতে গিয়েছিলেন। স্বজনরা দুপুরে ফিরে যাওয়ার পর সিরাজুল ইসলাম স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। দফতরিক সকল প্রক্রিয়া শেষে গতকাল শনিবার দুপুরের পর মরহুমের লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। নামাজে জানাজা শেষে বাদ আছর পারিবারিক গোরস্তানে লাশ দাফন করা হয়েছে।