অপেক্ষার শেষ নেই

 

স্টাফ রিপোর্টার: ৫দিনের টানা অনুসন্ধানের পরও খোঁজ মেলেনি পদ্মার লৌহজং চ্যানেলে ডুবেযাওয়া পিনাক-৬ লঞ্চটির। নৌপরিবহনমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী বিশ্বের সর্বাধুনিকপ্রযুক্তি ব্যবহার করেও লঞ্চটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বিদ্যমানপরিস্থিতিতে যে কোনো মুহূর্তে উদ্ধার কাজ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হতে পারে বলেইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল শুক্রবার আরও ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।এনিয়ে উদ্ধারকৃত লাশের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪০। এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্তনিখোঁজ রয়েছেন ১২৬ জন। এদের মধ্যে ৩৩ শিশু, ৪৪ পুরুষ ও ৪৯ জন মহিলা রয়েছেনবলে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের সাব কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে।পদ্মা-মেঘনার দু তীরেই এখনও মাতম করে ফিরছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা।লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।শুক্রবার বিকেলে মাওয়ারপদ্মা রেস্ট হাউসে নৌপরিবহনমন্ত্রীর সাথে এক জরুরি বৈঠক হয়উদ্ধারসংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের। এই বৈঠক শেষেনৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, আপাতত আমরা উদ্ধার অভিযানেরসমাপ্তি ঘোষণা করছি না। যতোক্ষণ ডুবে যাওয়া লঞ্চটি না পাওয়া যাবে ততক্ষণআমরা চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

তিনি আরও বলেন, ভাটির জেলাগুলোতে সার্চ কমিটিকরা হয়েছে। তারা নদীতে টহল দিচ্ছে। লাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলো উদ্ধারকরে মাওয়ায় পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফেরি ডুবে গেলে সেটি খুঁজে বেরকরার জন্য ব্ল্যাক বক্স জাতীয় কোনো ব্যবস্থা আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রীবলেন- না, আমাদের কোনো ফেরিতে এরকম ব্যবস্থা নেই। তেমনি পিনাক-৬ লঞ্চটিতেওসিগন্যাল পাওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা ছিলো না। তিনি জানান, মালয়েশিয়ার বোয়িং৭৭৭ বিমান নিখোঁজ হওয়ার পর সাগরের তলদেশে খোঁজার জন্য যে প্রযুক্তিব্যবহার করা হয়েছে আমরাও সেই প্রযুক্তি প্রয়োগ করেছি। এটাই বর্তমান বিশ্বেরসবচাইতে আধুনিক প্রযুক্তি।

তার পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, দায় আছে বলেই তোসরকার উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি আমলেলঞ্চ দুর্ঘটনা ছিলো ৩১টি। আমাদের সময়ে হয়েছে মাত্র ১৬টি। বিআইডব্লিউটিএরচেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান প্রথম থেকে এইপর্যন্ত সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাকে পাওয়া যায় না বা তিনিনিষ্ক্রিয় একথা সঠিক নয়। মন্ত্রী নিজের বা বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানেরপদত্যাগের দাবি অমূলক।