অনুমোদন ছাড়াই লাশ নিতে গেলে পুলিশি বাধা : হাসপাতালে উত্তেজনা

দামুড়হুদা কুড়ুলগাছিতে দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মাথায় মধ্যবয়সী নারী ছকিনা খাতুনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: রাস্তা পার হওয়ার সময় অটোর ধাক্কায় গুরুতর আহত মধ্যবয়সী নারী ছকিনা খাতুন ২৪ ঘণ্টার মাথায় মারা গেছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দুপুরে লাশ নেয়ার সময় পুলিশ বাধা দিলে মরহুমার নিকটজনেরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরিস্থিতি সামলাতে হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন নিয়ে গতরাত ৮টার দিকে মৃতদেহ নেয়া হয় দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গা পশ্চিমপাড়ায়। গতরাতেই দাফন কাজ সম্পন্ন করার প্রস্তুতি চলছিলো।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার মৃত নূর মোহাম্মদের স্ত্রী ছকিনা খাতুন (৫৫) মেয়ে মেহেরবানুর বাড়ি কুড়ুলগাছি বেড়াতে যান। গত পরশু রোববার সকালে মেয়ের এক জা’র বাড়িতে যান। সেখান থেকে মেয়ের বাড়ি ফেরার সময় সড়ক পার হতে গেলে কার্পাসডাঙ্গা অভিমুখে যাওয়া একটি অটো ছকিনা খাতুনকে ধাক্কা দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের কুড়ুলগাছি নামকস্থানে সড়কে পেছন থেকে ধাক্কা মারে অটো। আছড়ে পড়লে ছকিনা খাতুনকে উদ্ধার করে নেয়া হয় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তথা চিৎলা হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল ৮টার দিকে মারা যান তিনি। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ছকিনা খাতুনের মারা যাওয়ার খবর সকালেই পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট প্রণয়ন করে। দুপুরে লাশ নিজ গ্রামে নিতে গেলে স্বজনদের সাথে পুলিশের বাগবিত-া শুরু হয়। হাসপাতাল জুড়ে উত্তেজনা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। পুলিশ অবস্থা বেগতিক দেখে শক্তি বাড়াতে থাকে। অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেয়। বিধি মোতাবেক প্রশাসনের অনুমোদন নেয়া না হলে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করানোর বিষয়ে পুলিশ অনড় থাকে। শেষ পর্যন্ত নিহত ছকিনা খাতুনের নিকটজনেরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। অনুমোদন নিয়েই গতরাত ৮টার দিকে লাশ নিয়ে হাতিভাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন আত্মীয়-স্বজন।