২০১৯ বিশ্বকাপে আরও ভালো করবো

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আইসিসির টুর্নামেন্টে নকআউট পর্বে বাংলাদেশ হার মানছে আসলে অনভিজ্ঞতার কাছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনাল বড় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে নিজেদের জানান দিচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠছে না, এমন ম্যাচে চাপ নিতে পারার অভিজ্ঞতা না থাকায়। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজা নিশ্চিত ২০১৯ সালে এমন কিছু হবে না। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ আরও ভালো করবে বলেই ধারণা অধিনায়কের। ব্যাটিংয়ের একপর্যায়ে মনে হচ্ছিলো, বাংলাদেশের স্কোর ৩০০ ছাড়াবে। কিন্তু অনিয়মিত বোলার কেদার যাদবের দেয়া ধাক্কা সামলাতে না পারায় মাত্র ২৬৪ রানেই সন্তুষ্ট হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ব্যাটিংয়ে এভাবে কক্ষচ্যুত হয়ে যাওয়ার ধাক্কা বাংলাদেশ বোলিং দিয়েও সামলাতে পারেনি। প্রায় ১০ ওভার বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। মাশরাফি তবু এ দল নিয়েই আশাবাদী। ২০১৯ বিশ্বকাপের সময় দল এসব ম্যাচে আরও প্রস্তুত থাকবে বলেই তার দাবি, ‘২০১৯-এ আমরা আরও ভালো করবো। শারীরিক দিক থেকে বলুন কিংবা স্কিল, আমরা খারাপ নই। তবে এসব ম্যাচের জন্য মানসিকভাবে আরও দৃঢ় হতে হবে। আমাদের আরও শিখতে হবে। এই তরুণেরাই আবার ফিরবে (২০১৯ বিশ্বকাপে) এবং সেবার আরও ভালো করবে। একবার মানসিকভাবে প্রস্তুত হলে, যেকোনো কিছু অর্জন সম্ভব।’ পেসার তাসকিন আহমেদও দাবি করেছেন, এ ম্যাচের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বিশ্বকাপে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতাই সে লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে বলে ধারণা তাসকিনের, ‘আমরা প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলেছি, এটা অনেক বড় ব্যাপার। আশা করি, ২০১৯ বিশ্বকাপে এটা অনেক কাজে দেবে। ভালো অভিজ্ঞতা হলো, প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডে খেললাম। বোলিংয়ে আরও অনেক কিছু যোগ করতে হবে।’
তবে যতোটা ভাবা হচ্ছে, বাংলাদেশ নাকি অতোটা চাপে ছিলো না, ‘আমার কাছে মনে হয়নি, আমরা কেউ চাপে ছিলাম। ২০১৫ সালে যখন কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছি, তখন আরও বেশি চাপে ছিলাম। সে তুলনায় আজ আমরা অনেক স্বাভাবিক ছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত রান একটু কম হয়ে গেছে।’