১০ মিনিটে বাংলাদেশের জালে ৩ গোল

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ফুটবলে ক্রমেই দক্ষিণ এশিয়ায় পরাশক্তি হয়ে ওঠা আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় আত্মবিশ্বাস ছিলো। আগে কখনো যে হারেনি। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস প্রথমার্ধেই গুঁড়িয়ে দিলো আফগানরা। ৩১ থেকে ৪১ এ ১০ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশের জালে ঢুকলো তিন গোল। দ্বিতীয়ার্ধেও নিস্তার মেলেনি। তবে প্রথমার্ধের মতো বিভীষিকাময় অন্তত হয়নি। ভারতের কেরালায় আফগানিস্তানের কাছে ৪–০ গোলে হেরে শুরু হলো বাংলাদেশের এবারের সাফ যাত্রা।
এমনিতেই গ্রুপটা কঠিন। তার ওপর সাফের প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ হলে কী হবে, আফগানরা ক্রমেই সব খেলাই নিজেদের তুলে আনছে। ক্রিকেটের চেয়ে বরং ফুটবলেই সাফল্য বেশি। এবার ওদের দলে যেমন বেশ কয়েকজন ফুটবলার আছেন ইউরোপের বিভিন্ন লিগে খেলেন। বাংলাদেশ শুরুটাও ভালো করেছিলো। কিন্তু আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়েই নিজেদের রক্ষণটা আর সামলাতে পারল না। ৩০ মিনিটে মসি সাইঘানি গোলের খাতা খুলতে না-খুলতেই ৩২ মিনিটে ২-০ করে ফেললেন ফয়সাল শায়েস্তা। আসল শায়েস্তা করেন জুবাইর আমিরি। ৪১ মিনিটে ৩-০ করে ফেলে ম্যাচে বাংলাদেশের ফিরে আসার সব সম্ভাবনাই শেষ করে দেন। সেই তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র একটি গোল খাওয়া তো সাফল্যই। তবে খাইবার আমিনির ৬৯ মিনিটের গোলটি বাংলাদেশকে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে দিলো কি-না কে জানে। এই গ্রুপে আছে মালদ্বীপ, ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন। আফগানরা তো এক পা দিয়েই রাখল সেমিফাইনালে। মালদ্বীপের হিসাবটাও সহজ হয়ে গেল বাংলাদেশ গোল ব্যবধানের খাতায় মাইনাস ফোর দিয়ে শুরু করায়।
আফগানদের কাছে ষষ্ঠ সাক্ষাতে এসে হারলো বাংলাদেশ। যে হার হয়তো টানা তৃতীয়বারের মতো সাফের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়ার রাস্তাটাও দেখিয়ে দিলো। দিনের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপ ভুটানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শুভসূচনাও করেছে। আগামী শনিবার এই মালদ্বীপের সাথেই খেলা। ওই ম্যাচে জয় ছাড়া আর কিছু ভাবার সুযোগ খুব সামান্যই নতুন কোচ মারুফুলের জন্য।