১০ উইকেট হাতে রেখে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ব্লুমফন্টেইন টেস্টের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ শেষ করেছে ১০ উইকেট হাতে রেখে। কিন্তু এতে স্বস্তি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই মুশফিকদের। ব্লুমফন্টেইন টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছে এক সেশনের একটু বেশি। তাতেই অলআউট মুশফিকরা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ টেনেটুনে করতে পেরেছে ১৪৭। ব্যাটিংয়ের এমনই করুণ চিত্র, লিটন দাসের ৭০ রানটাও হতে পারেনি সান্ত্বনা! দিনের শেষ ভাগে ফ্লাডলাইটের আলোতেই বাংলাদেশকে ফলো অন করিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৭ রান তুলে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। এখনো পিছিয়ে ৪১৯ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের সময় মনে হয়েছে ব্লুমফন্টেইনের উইকেটে ব্যাটিং করা কতো সহজ। স্বচ্ছন্দে ব্যাটিং করে ৪ উইকেটে ৫৭৩ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামতেই সেই উইকেট হয়ে গেছে ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমি! লেগ স্টাম্পের ওপর গুড লেংথের বলে সৌম্য সরকারকে বোল্ড করে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেন কাগিসো রাবাদা। ১৩ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। রাবাদার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিং কাঁপিয়ে দেয়ার কাজটা করেছেন আরেক প্রোটিয়া পেসার অলিভিয়ের। ৬৫ রানে ৬ উইকেট হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কা ছিলো। সেটি হয়নি লিটনের প্রতিরোধে। বাংলাদেশ দলের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান রান তুলেছেন ওয়ানডের ছন্দে। বাউন্ডারি মেরেছেন ১৩টা। যেখানে দলের বাকিরা মিলে মেরেছেন ১১টা। ফিকোয়াওর এক ওভারেই মারলেন চারটা চার। অবশ্য টেস্টে বাউন্ডারির হিসাবের চেয়ে টিকে থাকাই গুরুত্বপূর্ণ। সেটি করতে পারেননি কেউ। আক্রমণাত্মক খেলে লিটন তবু কিছুটা জবাব দিতে পেরেছেন। রাবাদার শর্ট বলটা পুল করতে গিয়ে আউট হওয়ার আগে করেছেন ৭৭ বলে ৭০। দলের প্রায় অর্ধেক রান জোগান দিয়েছেন তিনি। লিটনের আগের টেস্ট ফিফটিও এসেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, চট্টগ্রাম টেস্টে।  তাইজুল-লিটনের সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করা ৫০ রান উইকেট পতনের মিছিলটা সাময়িক ঠেকাতে পারলেও ফলো অন এড়াতে পারেনি। অলিভিয়েরের বলে তাইজুলের (১২) স্টাম্প উড়ে গেলে বাংলাদেশের অলআউট হওয়াটা সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। লিটন-রুবেলের অষ্টম উইকেটে ২৮ রানে জুটি সেটা বিলম্বিত করেছে মাত্র। ৪ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ অলআউট ১৪৭ রানে। দল বাজেভাবে হারলেই বোলারদের শূলে চড়ান মুশফিক। পরপর দুটি ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা যেভাবে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন, অধিনায়ক তাতে কী বলবেন!