হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন পেলে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ৭৪ বছর বয়সী ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবলার পেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পেলে মুক্তি পান বলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তার দেহে প্রোস্টেট সার্জারি করা হয়েছে। সাওপাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পেলের একটি হাসিমাখা ছবিও প্রকাশ করেছে। এ সময় পেলের গায়ে ছিলো ক্রীড়া পোশাক। তিনি তার পার্টনার মার্সিয়া সিবেলে এওকিকে সাথে নিয়ে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়াচ্ছিলেন।

এ ফুটবল গ্রেটকে গত বছরও একই একই রকম সমস্যার কারণে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। প্রসাবের ইনফেকসনে ভুগছিলেন তিনি। তিনবারের বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ী একমাত্র এ ফুটবল তারকা চারদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত শুক্রবার মোডিকেল রিপোর্টে বলা হয়, পেলের দেহে টিউমার ছিল না। তিনি হাইপারপ্লাসিয়া (শীরের কোন অংশে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বেড়ে যাওয়া) সমস্যায় ভুগছিলেন। আন্তর্জাতিক এ ফুটবল আইকন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নানামুখি শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। গত নভেম্বরে তার কিডনি থেকে পাথর অপসারণ করা হয়েছে। এরপর তিনি ইনফেকশন সমস্যার কারণেও বেশ কদিন হাসাপাতালে কাটিয়েছেন। তার দেহে থাকা একমাত্র কিডনিটিও অকেজো হয়ে পড়ার কারণে দেহে কৃত্রিম কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। খেলোয়াড়ি জীবনেই পেলে তার দু’টি কিডনির একটি অপসারণ করিয়েছিলেন।

এডসন এ্যারান্টেস ডো নাসচিমেন্টো নামের অধিকারী পেলেকে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি একমাত্র ফুটবলার যিনি তিনবার বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করেছেন। ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি তাকে শতাব্দি সেরা এ্যাথলেট খেতাবে ভূষিত করে। পেলের ডাক নাম ছিল ও রেই ( দি কিং)। ট্রেস কারাকোয়েসে জন্ম নেয়া পেলে একসময় ব্রাজিলের তরুণ ফটুবলারদের আদর্শ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৫ বছর বয়সেই সান্তোস ক্লাবের হয়ে পেশাদার ফুটবলে নাম লেখান তিনি। আর মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করেন। ১৯৫৮ সালে স্বাগতিক সুইডেনের বিপক্ষে জয় পাওয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে দুই গোল করেন পেলে। এরপর ফুটবল পাগল দেশ ব্রাজিলকে ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ শিরোপা পাইয়ে দেয়া পেলে ৯১ ম্যাচ থেকে গোল আদায় করেছেন ৭৭টি। আলোকিত ফুটবল ক্যারিয়ারে এই কিংবদন্তি সর্বমোট গোল করেছেন ১,২৮১টি।