স্বপ্নের ফাইনালে আর্জেন্টিনা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সেমিফাইনালে কখনও হারে না আর্জেন্টিনা। সার্জিওরোমেরোর কল্যাণে ব্রাজিল বিশ্বকাপে তা আরও একবার প্রমাণ করলো লাতিনআমেরিকার দেশটি। টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে ৪(০)-(০)২ গোলে হারিয়ে ২৪ বছরপর আবারও ফাইনালে মেসির আর্জেন্টিনা। আগামী রোববার রিও ডি জেনিরোওতে তাদেরপ্রতিপক্ষ স্বাগতিকদের ধসিয়ে দেয়া জার্মানি। গতকাল সাও পাওলোর অ্যারিনাকোরিনথিয়ান্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র থাকার পর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। ট্রাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার হয়েগোল করেন মেসি, গারাই, আগুয়েরা ও রদরিগেস। বোবেন ও ডির্ক কুয়েট গোল করলেওনেদারল্যান্ডের রন ভস্নার ও ওয়েসলি স্নাইডারের শট দুটি রুখে দিয়ে নায়ক বনেযান ওচোয়া, নাভাসদের কারণে আড়ালে পরে যাওয়া আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিওরোমেরো। এই সেমিফাইনালের আগেও মেসিদের সামনে ছিলো ৩৬ বছরের পুরনো জমাটধুলাময় এক ইতিহাস। ১৯৭৮ সালের ফাইনালে আকাশি-শাদাদের প্রথম মহানায়ক সিজারমেনোত্তির হাত ধরেই ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছেআর্জেন্টিনা। ওটাই ছিলো নেদারল্যান্ডসদের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার একমাত্রজয়। এরপর বিশ্বকাপের মঞ্চে নেদারল্যান্ডসকে আর হারাতে পারেনি আর্জেন্টিনা।১৯৯৮ বিশ্বকাপে প্যাসারেলার আর্জেন্টিনা, ২০০৬ বিশ্বকাপে পেকারম্যানেরআর্জেন্টিনা বিজয়রথ থামিয়ে দিয়েছেন নেদারল্যান্ডস। এর আগে, দুদলের ৮ বারেরলড়াইয়ে চারবার জিতেছিলো নেদারল্যান্ডস, মাত্র একবার শেষ হাসি হেসেছিলো লাতিনআমেরিকানরা। তিনবার ড্র’তে হয়েছিলো মীমাংসা। এবার গত বারের রানার্স আপদেরজয়যাত্রা থামিয়ে দিলো সাবেলার শিষ্যরা।