সেইন্টফিটের এক পা বাংলাদেশে, অন্য পা নাইজেরিয়ায়

মাথাভাঙ্গা মনিটর: টম সেইন্টফিট আদৌ মামুনুলদের দায়িত্ব নিচ্ছেন কি-না, সে ধোঁয়াশা কাটেনি। বেলজিয়ামের এ কোচ মুখে ‘হ্যাঁ’ বললেও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাথে তার চুক্তিটা এখনও হয়নি। বাফুফে পরিষ্কার করে কিছু বলছে না। আবার সেইন্টফিট বিদেশি গণমাধ্যমকে যা বলছেন, সে কথার সাথে মিলছে না স্থানীয় গণমাধ্যমে তার বলা কথাগুলো! এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে ওঠার প্লে-অফের দ্বিতীয় রাউন্ডে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ও ১০ অক্টোবর ভুটানের মাঠে ফিরতি লেগের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এ দু ম্যাচের জন্য সেইন্টফিটকে আপাতত কোচ করার পাকা সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে। দু পক্ষের মধ্যে বুধবার চুক্তি হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু হঠাৎ বাফুফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, চুক্তিটা হচ্ছে না। কারণ হিসেবে বলা হয় পেটের পীড়ায় ভুগছেন সেইন্টফিট। সেই থেকে অনিশ্চয়তার গুঞ্জন ফের ডালপালা মেলছে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সাথে আলোচনার পর বেলজিয়ামের এ কোচও পেটের অসুখের কথাই বলেছেন স্থানীয় গণমাধ্যমকে, গত রাতে ঠিকমতো ঘুমোতে পারিনি। পাকস্থলীর সমস্যায় ভুগছি। মনে হচ্ছে কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে। অসুস্থতার কারণে চুক্তিটা এখন করতে পারছি না। সভাপতির সাথে অল্প সময় চুক্তিপত্রের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপাতত আমি প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় মনোযোগ দিতে চাই। অথচ চুক্তি নিয়েই সুপারস্পোর্ট ডটকমকে সেইন্টফিট বলেছেন ভিন্ন কথা। সেখানে নাইজেরিয়ার দায়িত্ব নেয়ার প্রতি তার আগ্রহটা প্রকাশ পেয়েছে প্রবলভাবে।

নাইজেরিয়াকে আমি অগ্রাধিকার দিব এবং এ কারণেই আমি বাংলাদেশের চাকরিটা নেইনি। আমি চুক্তি স্বাক্ষর করা স্থগিত করেছি। আমি নাইজেরিয়ার সঙ্গে বিশ্বকাপে যেতে চাই। শুধু যেতে চাই না, নাইজেরিয়াকে আমি সেমি-ফাইনালেও তুলতে চাই; কেন না তাদের সে সামর্থ্য আছে। আমি নাইজেরিয়ায় থাকতে প্রস্তুত। শক্তিশালী একটা দল গঠনের লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাচ্ছি। লিগের ছয়টি ম্যাচ দেখেছি। আরও কয়েকটি ম্যাচ দেখে বেলজিয়াম যাবো। জানি না, চুক্তি ছাড়া আমার দায়িত্বটা কতো দিন চালিয়ে যাবো। নাইজেরিয়া ডাকলে কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবও সেইন্টফিট দিয়েছেন দু নৌকায় পা রেখে, ‘রিয়াল মাদ্রিদ বলুন, আর্জেন্টিনা বলুন তারা ডাকলে অবশ্যই আমি তা বিবেচনা করবো। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়া আমার কাছে কোন দেশ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়নি। এ মুহূর্তে আমি বাংলাদেশ নিয়ে সন্তুষ্ট।’