সাকিবই জেতালেন জ্যামাইকাকে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: লক্ষ্য খুব বড় ছিলো না জ্যামাইকা তালওয়াসের। গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে থেমে গিয়েছিলো ১২৮ রানেই। গেইল-রাসেল-সাঙ্গাকারা-সাকিবদের জন্য এ রান তাড়া করা খুব কঠিন কিছু ছিলো না। কিন্তু ১২৮ রানের জবাব দিতে গিয়েই মহাবিপর্যয়ে পড়লো জ্যামাইকা। মাত্র ২ রানে প্রথম ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে তাদের জয়ের স্বপ্ন যখন প্রায় ফিকে, ঠিক তখনই ঝলসে উঠলেন সাকিব আল হাসান। তার ৪৭ বলে অপরাজিত ৫৪ রানে ইনিংসেই জয়ের মুখ দেখলো জ্যামাইকা। সাকিবকে অবশ্য দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ক্রিস গেইল। নিচের দিকে ব্যাট করা গেইল ২৯ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ষষ্ঠ উইকেটে সাকিব আর গেইল জুটি ৮৭ রান তুলেই দলকে পৌঁছে দিয়েছেন জয়ের বন্দরে। সাকিব ও গেইলের পাশাপাশি আন্দ্রে রাসেলও ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেছেন। ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সাকিব তাকে নিয়েই প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়েছেন। ১৬ বলে ২৪ রান করে রাসেল ফিরে গেলে সাকিবের সাথে যোগ দেন গেইল।

এর আগে টসে জিতে গায়ানাকে ব্যাট করতে পাঠায় জ্যামাইকা। স্যাবাইনা পার্কে গায়ানার শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। মার্টিন গাপটিল ফিরে যান শূন্য রানেই। তবে ক্রিস লিন ৩৩, জেসন মোহাম্মদ ৪৬ আর সোহেল তানভীরের ১৫ রানের তিনটি ইনিংস গায়ানার সংগ্রহ নিয়ে যায় ৬ উইকেটে ১২৮-এ। জ্যামাইকার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ডেল স্টেইন ও ইমাদ ওয়াসিম। বল হাতেও সাকিবের অবদান ছিলো। ২ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। ব্যাটে-বলে গতকাল সপ্রতিভ সাকিব হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। জ্যামাইকার ইনিংসের শুরুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন গায়ানার সোহেল তানভীর ও আলী খান। তানভীর নিয়েছেন ২ উইকেট। আলী ১টি। এ ছাড়া ভিরাস্বামী পেরমল নিয়েছেন ১টি উইকেট।