শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে ভারতের ইতিহাস

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পুরো তিন দিনেরও কম সময়ের মধ্যেই পাল্লেকেলেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ১৭১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সফরকারী ভারত। ইনিংস ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের সবচেয়ে বড় জয়টি তুলে নেয়ার পাশাপাশি তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করলো বিরাট কোহলির দল। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে তিন বা তার বেশি ম্যাচ সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার ইতিহাস গড়লো টিম ইন্ডিয়া। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জিতলো ভারত।

প্রথম ইনিংসে ৩৫২ রানে পিছিয়ে ফলো-অনে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তাই দ্বিতীয় দিন আবারো ব্যাট হাতে নেমে দিন শেষে ১ উইকেটে ১৯ রান করেছে তারা। ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ১২ ও পুস্পকুমারা ০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ইনিংস হার এড়াতে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিলো ৩৩৩ রান। হাতে ছিলো ৯ উইকেট। কিন্তু তৃতীয় দিনের শুরু থেকে ভারতীয় বোলারদের তোপে দিশেহারা হয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। ৪ উইকেটে ৮২ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতি শেষে পরের সেশনে আর মাত্র ১২৮ বল মোকাবেলা করতে পেরেছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। ভারতের স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন, দু পেসার মোহাম্মদ সামি-উমেশ যাদবের তোপে ১৮১ রানে অলআউট হয়ে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা পায় শ্রীলঙ্কা। সেই সাথে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। তাই ঘরের মাঠে তিন টেস্টের সিরিজে দ্বিতীয়বারের মত হোয়াইটওয়াশ হলো লঙ্কানরা। প্রথমবার ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো দলটি।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে এই ইনিংসে উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকবেলা সর্বোচ্চ ৪১, অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল ৩৫ ও সাবেক দলপতি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ৩৫ রান করেন। ভারতের অশ্বিন ৬৮ রানে ৪, সামি ৩২ রানে ৩ ও উমেশ ২১ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন হার্ডিক পান্ডে। প্রথম ইনিংসে আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৯৬ বলে ১০৮ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেনে পান্ডে। আর সিরিজ সেরা হয়েছেন ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান। পুরো সিরিজে দুটি সেঞ্চুরিতে ৩৫৮ রান করেছেন তিনি।

আগামী ২০ আগস্ট থেকে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। আর ৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের একমাত্র টি-২০ ম্যাচ।