শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা উপহার দিলো পাকিস্তান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: প্রথমবারের মতো পাঁচ ম্যাচের সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা উপহার দিলো পাকিস্তান। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে ৯ উইকেটে জিতে পাকিস্তান। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৫-০ ব্যবধানে জিতে নেয় তারা। চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের কাছে ৫-০ ব্যবধানে হারের পর পাকিস্তানের কাছেও হোয়াইটওয়াশ হলো শ্রীলঙ্কা। একই বছর তিনবার ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ হারা প্রথম দল হিসেবে পরিচিতিও পেল শ্রীলঙ্কা। শারজাহ-এ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিং-এ নেমে পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার উসমান খানের বোলিং তোপে পড়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ২০ রানের মধ্যে ওপরের সারির ৫ ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। নিজের প্রথম ২১ ডেলিভারিতেই ৫ উইকেট নেন উসমান। ক্রিকেট ইতিহাসে দ্রুত ৫ উইকেট নেয় তৃতীয় বোলার হলেন উসমান। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই ৫ উইকেট শিকারের স্বাদ নিলেন তিনি। শুরুতেই খাদে পড়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা, পরবর্তীতে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। কারণ পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরেন বিশ্বসেরা বোলার হাসান আলী ও শাহদাব খান। দুজনে ২টি করে উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ২৬ দশমিক ২ ওভারে ১০৩ রানেই আটকে ফেলেন। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন থিসারা পেরেরা। এছাড়া লাহিরু থিরিমান্নে ১৯ ও সেক্কুজে প্রসন্ন ১৯ রান করেন। জয়ের জন্য ১০৪ রানের ছোট টার্গেটে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম উল হক ও ফখর জামান। ১শ বল মোকাবেলা করে ৮৪ রান যোগ করেন তারা। ৭টি চারে ৪৭ বলে ৪৮ রান করে ফিরেন ফখর। তবে তিন নম্বরে নামা ফাহিম আশরাফকে নিয়ে ২১তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই দলের জয় নিশ্চিত করেন ইমাম। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৪ বলে অপরাজিত ৪৫ রান করেন ইমাম। অন্যপ্রান্তে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন ফাহিম। ৭ ওভারে ৩৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা পাকিস্তানের উমসান। ১৪ উইকেট শিকার করে সিরিজ সেরা নির্বাচিত হন একই দলের হাসান আলী। আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে তিন ম্যাচের টোয়েন্টি টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।