শেষ মুহূর্তের গোলে আর্সেনালের দুর্দান্ত জয়

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ম্যাচের আর ৩০ সেকেন্ডও বাকি নেই। লেস্টার সিটি বক্সের বাইরে আর্সেনালের ফ্রি কিক। ম্যাচের শেষ কিক। যা করার এ একটি শটেই করতে হবে। মেসুত ওজিলের ক্রসটাতে আলতো মাথা ছোঁয়ালেন ড্যানি ওয়েলবেক। বল লেস্টারের জালে। আর্সেনাল ২-১ লেস্টার সিটি! কী দুর্দান্তভাবে শেষ হলো ম্যাচটা। কী দুর্দান্ত ভাবে ফিরে এসে ম্যাচ জিতে নিলো আর্সেনাল! শিরোপা জিতবে কি-না, সেটি সময় বলবে। তবে লিগের শীর্ষে থাকা দলটির বিপক্ষে এভাবে ম্যাচ জেতা হয়তো আর্সেনালের বিশ্বাসে জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে।

প্রথমার্ধের ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জেমি ভার্ডির গোলে এগিয়ে গিয়েছিলো লেস্টার। পুরো অর্ধে দু দলই সমানে সমানে খেলেছে। তাতে শেষ মুহূর্তে একটু ‘অভিনয়ে’ পাওয়া পেনাল্টিটা হয়তো লেস্টারের স্বপ্নটাকে আরও একটু উসকে দিয়েছিল। এ ম্যাচ জিতলে যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবারের প্রিমিয়ার লিগে আরও একটু এগিয়ে যেতে পারতো তারা।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে একটা লাল কার্ডই সর্বনাশ ডেকে আনলো। ৫৪ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লেস্টার ডিফেন্ডার ড্যানি সিম্পসন মাঠ থেকে উঠে যেতেই খেলার ধরন পালটে যায়। এতক্ষণ পর্যন্ত যে ম্যাচ দুলছিলো এদিক-ওদিক সেটিই হয়ে গেল আর্সেনালের আক্রমণ বনাম লেস্টারের রক্ষণ। তাতে জিতলো আর্সেনালই। দেখিয়ে দিলো, কঠিন পরিস্থিতিতে বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও কাজে লাগে অনেক সময়।

৭০ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা থিও ওয়ালকটের হাত ধরে ফিরে আসার শুরু। লেস্টারের সাথে প্রিমিয়ার লিগের আগের দু ম্যাচেই গোল করেছেন ইংলিশ উইঙ্গার। ধারাটা আজও ধরে রাখলেন। অলিভিয়ের জিরুর হেড থেকে পাওয়া বল ধরে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে সমতায় ফিরিয়ে আনলেন আর্সেনালকে। এরপর তো ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে ওয়েলবেকের ওই গোলে জয়ই তুলে নিলো গানাররা।