শেকল পরানো হচ্ছে মেসি-নেইমারদের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সব শেকল তো আর খারাপ নয়। যদি সেটা হয় নিয়মের। শৃঙ্খলার। দলীয় স্বার্থের কথাভেবে। এরই মধ্যে নিজেকে ‘কড়া হেডমাস্টার’ বানিয়ে তোলা বার্সেলোনার নতুনকোচ লুইস এনরিকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সামান্য ছাড়টুকুও দেবেন না। এবার ক্লাবেরবড় তারকাদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হলো লিস্টি। যে তালিকায় দেয়া আছে কী কী করাদলের খেলোয়াড়দের জন্য সর্বৈব নিষিদ্ধ। এই তালিকা দেখলে অবশ্য যে কেউ ভাবতেপারেন, তালিকা তো নয়, বিধি-নিষেধের শেকল!পূর্বসূরি জেরার্ডো মার্টিনোবিধি-নিষেধের ব্যাপারে খুবই আলগা গেরোর ছিলেন বলেই শোনা যায়। খুব একটাশাসন-টাশন তার ধাতে ছিলো না। অনেকেই মনে করেন, বার্সেলোনার গত মরসুমেরব্যর্থতা এবং মার্টিনোর ‘টাটা’ হয়ে যাওয়ার পেছনে এটাও একটা কারণ। এনরিকেতাই বোধ হয় কোনো ঝুঁকি নিতে চান না।কিন্তু ‘এনরিকে-শাসনবিধি’তে কী কীআছে?ফিরিস্তিটা শুনুন। অনুশীলন শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সবাইকে পৌঁছে যেতেহবে। সব খেলোয়াড়কেই ঠিক ঠিক সময়ে খাবার খেতে হবে। খাবারে কোনো ধরনেরঅ্যালকোহল চলবে না। খেলার দু দিন আগে থেকেই সবাইকে মাঝরাতের আগেই বাড়িফিরতে হবে, নৈশ ক্লাবে থাকা চলবে না। খেলোয়াড়দের সব ধরনের বিবৃতি যেনসম্মানজনক হয়, টুইটার-ফেসবুক ব্যবহার করতে হবে সতর্কতার সাথে। ক্লাবের সবকার্যক্রমে ক্লাবের পোশাক অবশ্যই পরতে হবে। স্কিয়িং, মোটরসাইকেল চালানো, ডাইভিঙের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ খেলোয়াড়েরা করতে পারবে না।তালিকাটালম্বাই। নিয়ম ভাঙলে ১ থেকে ৬ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা, কয়েক ম্যাচেরজন্য নিষিদ্ধ হওয়া, এমনকি অপরাধ গুরুতর হলে ক্লাব থেকে বহিষ্কৃত হতে পারেনখেলোয়াড়েরা!