শান্তি ফেরাতে খেলোয়াড়েরাই দিতে চান ৩ কোটি ডলার

শান্তি ফেরাতে খেলোয়াড়েরাই দিতে চান ৩ কোটি ডলার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: এর আগেও একবার লেখা হয়েছিলো, শান্তি ফিরছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে। যদিও শেষ পর্যন্ত শান্তির ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ভেড়েনি। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড যেকোনো প্রস্তাবেই রাজি হচ্ছে না! নিচু স্তরের ক্রিকেটের জন্য নিজেদের অংশ থেকে ৩ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলো খেলোয়াড়দের সংগঠন (এসিএ)। এমন প্রস্তাবের পরও নিজেদের পক্ষ থেকে কোনো ছাড় দিতে রাজি হয়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)! গত বুধবার দুপক্ষ আলোচনায় বসেছিলো আবার। এসিএ বোর্ডের দেয়া ভবিষ্যত আয়ের রূপরেখা মেনে নিয়েছিলো। যদিও ক্রিকেটারদের ধারণা বোর্ডের দেয়া ভবিষ্যত আয়ের পরিমাণ কম দেখানো হয়েছে। কিন্তু আলোচনায় গতি আনতে বোর্ডের প্রস্তাবিত আয়ের পরিমাণ মেনে সেটা থেকেই লভ্যাংশের প্রস্তাব দিয়েছিলো এসিএ। সঙ্গে এটাও বলা হয়েছিলো, চুক্তির অধীনে থাকা সব আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটার (নারী ও পুরুষ) অবদান রাখবেন তৃণমূল ক্রিকেটার বিনিয়োগ তহবিলে (পিজিআইএফ)। প্রায় ২৩০ জন ক্রিকেটার বোর্ড থেকে পাওয়া লভ্যাংশ ও পারফরম্যান্স বোনাস থেকে যে অবদান রাখবেন, তাতে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করা যাবে। এসিএর ভাষায়, এতেই বোঝা যায় খেলা ও ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য খেলোয়াড়েরা কতোটা সম্মান রাখেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার বোর্ডের দেয়া নতুন প্রস্তাবে সমঝোতার কোনো ইঙ্গিতই মেলেনি। আগের মতোই ক্রিকেটারদের লভ্যাংশ পাওয়ার কোনো প্রস্তাবই রাখা হয়নি। মূল প্রস্তাবে বোর্ডের লভ্যাংশ পাবেন শীর্ষ ১৭ জন ক্রিকেটার। কিন্তু এসিএর দাবি, সেটি দিতে হবে ২৩০ জনকেই। এখান থেকেই এরা সবাই মিলে তৃণমূলের ক্রিকেটে ৩ কোটি ডলার দেবেন। কিন্তু এই প্রস্তাবেও রাজি হয়নি সিএ। ফলে শান্তি প্রস্তাব আসছে বলে বাতাসে যে গুঞ্জন ভাসছিল সেটা উবে গেছে মুহূর্তেই। এমনকি গত দুই সপ্তাহ ধরে চলে আসা এতো আলোচনা সবই ভেস্তে গেছে বলে ভাবা হচ্ছে। সমস্যার সমাধানে গতকাল এসিএ প্রধান অ্যালিস্টার নিকলসন ও বোর্ড সভাপতি জেমস সাদারল্যান্ড নতুন করে বৈঠকে বসেছেন। সিএ আলোচনা সফলের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু যে ইস্যুতে ঝামেলা শুরু, সেই খেলোয়াড়দের লভ্যাংশ প্রাপ্তি নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি এখনো!