শততম টেস্টে জয় চায় বাংলাদেশ

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর দেখতে দেখতে ৯৯টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ওয়ানডে ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ভালো করলেও টেস্ট ক্রিকেটে এখনো নিজেদেরকে ঠিকমত মেলে ধরতে পারেনি টাইগাররা। ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণে এখনো তুলনামূলক দুর্বল হিসেবেই পরিচিত দলটি চলমান শ্রীলঙ্কা সফরেই নিজেদের শততম টেস্ট খেলতে যাচ্ছে। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামীকাল বুধবার শুরু হতে যাওয়া মাইলফলক স্পর্শ করা ম্যাচে জয় দিয়ে পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসতে চায় মুশফিকুর রহমানের নেতৃত্বাধীন টাইগাররা। চলমান সফরে প্রথম টেস্টে ২৫৯ রানে পরাজিত হয় দলটি। যা কিনা তাদের ৭৬তম ও এক নাগারে চতুর্থ পরাজয়।

টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশই এখন পর্যন্ত নিজেদের প্রথম একশ ম্যাচে এতো বেশি পরাজয়ের স্বাদ পায়নি। বলতে গেলে গত ১৭ বছর যাবতই দীর্ঘ সংস্করণে ধুকছে বাংলাদেশ। অবশ্য নিজেদের প্রথম একশ ম্যাচে জয়ের ক্ষেত্রে সবার নিচে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। কিউইরা নিজেদের প্রথম একশ ম্যাচে জয় পেয়েছে সাতটিতে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ জিতেছে আটটিতে। তবে নিউজিল্যান্ড ড্র করেছে ৪৭টি, বাংলাদেশ করেছে ১৫টি।

বাংলাদেশের আট জয়ের পাঁচটিই এসেছে নিজ মাঠে দুবর্ল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। টাইগাররা বিদেশের মাটিতে ৪৬ ম্যাচের অন্য তিনটি জয়ের মধ্যে দু’টি এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও একটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। টাইগাররা ২০০১-২০০৪ সালের মধ্যে এক নাগারে ২১ ম্যাচে হেরেছে। যে রেকর্ড অন্য কোনো দলের নেই। তবে সম্প্রতি নিজ মাঠে প্রথম ম্যাচে পরাজয় সত্ত্বেও দ্বিতীয়টিতে জয়ী হয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ। যা এ যাবতকালে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সঠিক কাজটিই করছি যে কারণে সব ম্যাচেই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আপনার প্রত্যাশা বেশি কেন? কারণ আপনি ভালো করছেন, আমি ঠিক বলছি কি-না?’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলেন, ‘সব কিছুই আমরা স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছি। তবে শততম টেস্ট হওয়ায় অবশ্যই এটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণও বটে।’

ভারতের বিপক্ষে ২০০০ সালে বাংলাদেশের উদ্বোধনী টেস্ট খেলা সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার বলেন, সাবেক ইংল্যান্ড খেলোয়াড় জিওফ্রে বয়কটসহ অন্য সমালোচনাকারীদের ভুল প্রমাণ করতে দলকে অবশ্যই আরো বেশি বেশি ম্যাচ জিততে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘শততম টেস্ট উদযাপনে সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে এই ম্যাচে জয়ী হওয়া। অন্য অনেক দিক থেকেও এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয় দরকার। সীমিতি ওভারের ক্রিকেটে আমরা এখন একটি শক্তিশালী দল। তবে আমাদের টেস্ট ম্যাচ জয়ের যোগ্যতারও প্রমাণ দিতে হবে।’