শততম টেস্টে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ, লড়ছে শ্রীলঙ্কা

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: শ্রীলঙ্কাকে চতুর্থ দিনেই গুটিয়ে দেয়ার দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলো। কিন্তু না শেষ পর্যন্ত অলআউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবুও শততম টেস্টে অসাধারণ এক জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। দুই উইকেট হাতে নিয়ে শ্রীলঙ্কার লিড এখন ১৩৯ রান। পঞ্চম দিনের শুরুতেই যদি শ্রীলঙ্কার ব্যাটিঙের লেজ গুটিয়ে দিতে পারে তাহলেই তো টাইগারদের জন্য জয় থাকবে হাতের নাগাল দুরুত্বে। কলম্বো টেস্টের চতুর্থ দিন যেন পুরোটাই বাংলাদেশের। দিনের শুরুতেই বল হাতে স্বস্তি এনে দেন তরুণ স্পিন সেনসেশন মেহেদী হাসান মিরাজ। করুনারত্নের সঙ্গে ৫৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে তৃতীয় দিন শেষ করেছিলেন উপল থারাঙ্গা। উদ্বোধনী জুটিতে তাদের কাছ থেকে দারুণ কিছুর প্রত্যাশা ছিলো লঙ্কান সমর্থকদের। কিন্তু চতুর্থ দিনে মিরাজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ২৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন থারাঙ্গা। এরপর এক উইকেটে ১৩৭ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় লঙ্কানরা। দিমুথ করুনারত্নে ও কুসল মেন্ডিস গড়েছিলেন দারুণ জুটি। লাঞ্চের পর থেকেই মাঠে নামে অন্য বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে বিবর্ণ দলই অসাধারণভাবে বদলে গেল দ্বিতীয় সেশনে। দলীয় ১৪৩ রানে ব্যক্তিগত ৩৬ রানের মাথায় মোস্তাফিজের শিকার হন মেন্ডিস। ভাঙে ৮৬ রানের জুটি। এরপর মুস্তাফিজ ও সাকিবের ম্যাজিক বোলিঙে ধরা দিলো একের পর এক উইকেট। মুস্তাফিজ নিলেন ৩ উইকেট, সাকিব ২টি। লাঞ্চ থেকে চা বিরতি পর্যন্ত ২৬ ওভারে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা ৬২ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে।

চা বিরতি শেষে আবারো জুটি গড়ে তোলে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। সাকিব-মোস্তাফিজের স্পেলের দরুণ দীর্ঘক্ষণ বোলিঙে আনা হয়নি তাইজুল ইসলামকে। শেষ ঘণ্টার আগে সারা দিনে বোলিং করেছেন ৬ ওভার। শেষ বিকেলে বোলিঙে এসে দ্বিতীয় বলেই উইকেট পান তিনি। হেরাথ ও পেরেরার জুটি উইকেটে কাটিয়ে দিয়েছিলো প্রায় ১০ ওভার। হেরাথকে ফিরিয়ে তাইজুল ভেঙেছেন সেই জুটি।

হেরাথের আগে করুণারত্নের প্রতিরোধের দেয়াল ভেঙে দেন সাকিব। সাকিবের অফ স্টাম্পের বাইরে ফ্লাইট দেয়া বল বাইরে টেনে আনলো করুনারত্নেকে। ডিফেন্স করতে ব্যাট বাড়িয়ে দেন করুনা। টার্ন না করে বল গেল সোজা। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্লিপে সৌম্যর হাতে। ইনিংসের উদ্বোধন করতে নেমে ১২৬ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন তিনি। দিলরুয়ান পেরেরার সঙ্গে জমাট জুটিতে গড়েছিলেন প্রতিরোধ। ২২.২ ওভারে ২৭ রানের জুটি!

দিনের শেষ বলেও হল দারুণ নাটক। মোসাদ্দেকের বলে ব্যাট-প্যাড ক্যাচের আবেদন। আম্পায়ার আলিম দার শুরুতে মাথা নেড়ে সায়ও দিলেন। কিন্তু মুহূর্ত পরেই আবার মাথা নেড়েই বুঝিয়ে দিলেন আউট নয়! বাংলাদেশ রিভিউ নিলো। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলানোর মত শতভাগ নিশ্চিত হতে পারেননি তৃতীয় আম্পায়ার। বেঁচে গেলেন সুরাঙ্গা লাকমল।  শততম টেস্টে টাইগাররা কি উপহার দেয় সেজন্য কলম্বো টেস্টের পঞ্চম দিনের রোমাঞ্চ দেখতে হবে টাইগার ভক্তদের।