লুকাকুর নৈপুণ্যে শেষ আটে বেলজিয়াম

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দারুণ চেষ্টা করেছিলেন টিম হাওয়ার্ড। নির্ধারিতনব্বই মিনিট বেলজিয়ামের অসংখ্য আক্রমণ ঠেকিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এগোলরক্ষক। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি তিনি। অতিরিক্ত সময়ে বদলি নেমেদলকে ২-১ গোলের জয় এনে দিয়েছেন বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড রোমেলু লুকাকু।৯২তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইন দলকে এগিয়ে নেয়ার পর ১০৫তম মিনিটে ব্যবধানদ্বিগুণ করেন লুকাকু। দু মিনিট পর তরুণ জুলিয়ান গ্রিনের গোলে ব্যবধান কমায়যুক্তরাষ্ট্র।এ জয়ের ফলে বারো বছর পর বিশ্বকাপে এসেইকোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছুলো মার্ক উইলমটসের দলটি। গত শনিবার ব্রাজিলিয়ায় শেষআটের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ দুবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।নির্ধারিতনব্বই মিনিটে অসংখ্য সুযোগ তৈরি করে বেলজিয়াম। কিন্তু হাওয়ার্ডের নৈপুণ্যেতার একটি থেকেও সাফল্য পায়নি এবারের আসরের ‘কালো ঘোড়া’ বেলজিয়াম।অতিরিক্তসময়ে লুকাকুর নৈপুণ্যে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইউরোপের দলটি। এরপর প্রচণ্ডচাপ তৈরি করে ব্যবধান কমালেও হার এড়াতে পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমানেরশিষ্যরা।সালভাদরের আরেনা ফন্তে নোভায় প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ায়সুযোগ পায় বেলজিয়াম। মার্কারকে ফাঁকি দিলেও মাত্র দশ গজ দূর থেকে টিমহাওয়ার্ডের হাতে বল তুলে দেন দিভোক ওরিগি।যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমসুযোগটি আসে ২১তম মিনিটে। জোজি আলটিডোরের পাস পেয়ে ১৫ গজ দূর থেকে শট নিয়েওথিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করতে পারেননি ক্লিন্ট ডেম্পসি।দু মিনিটপর এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় বেলজিয়াম। একদম ফাঁকায় বল পেয়ে ১২ গজ দূরথেকেও বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ডি ব্রুইন। প্রথমার্ধে এটাই ছিলো শেষসুযোগ।৫৭তম মিনিটে বেলজিয়ামের জন্য আবারো হতাশা। টোবিঅল্ডারভেইরল্ডের ক্রস ডি বক্সে খুঁজে যায় ওরিগিকে। এবার হাওয়ার্ডকে পরাস্তকরতে পারলেও বল ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।৭১তম মিনিটে দলকে আবারো হতাশ করেন ওরিগি। কেভিন মিরালাসের পাস ডি বক্সেলিলের এ মিডফিল্ডারকে খুঁজে পেলেও সরাসরি হাওয়ার্ডের দিকে মেরে সুযোগ নষ্টকরেন তিনি।ছয় মিনিট পর আবারো যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাতা হাওয়ার্ড।ওরিগির কাছ থেকে বল পাওয়া মিরালাসের সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক। কিন্তু ১২গজ দূর থেকেও এভারটনের সতীর্থকে পরাস্ত করতে পারেননি এ মিডফিল্ডার।শেষ দশ মিনিটে আরো তিনবার বেলজিয়ামকে হতাশ করেন হাওয়ার্ড।যোগ করাসময়ে দারুণ একটি সুযোগ আসে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। কোর্তোয়ার ঠিক সামনে বলপেয়ে যান ক্রিস ওন্ডোলোস্কি। অরক্ষিত এ ফরোয়ার্ড মাত্র ছয় গজ দূর থেকেওবারের ওপর দিয়ে মেরে সুবর্ণ সুযোগটি নষ্ট করেন।অতিরিক্ত সময়ে গোলেরজন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বেলজিয়ামকে। ৯৩তম মিনিটে লুকাকু ডিবক্সের ভেতর খুঁজে পান ডি ব্রুইনকে। সাথে লেগে থাকা ডিফেন্ডারদের থেকেএকটু দূরে গিয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান ভলসবুর্গের এ মিডফিল্ডার।১০৫তমমিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লুকাকু। ডি বক্সে ডি ব্রুইনের পাস থেকেহাওয়ার্ডকে পরাস্ত করেন চেলসি থেকে ধারে এভারটনে খেলা এ ফরোয়ার্ড।দুই মিনিট পর গোল করে ব্যবধান কমান গ্রিন। মাইকেল ব্র্যাডলির ক্রসে বায়ার্নমিউনিখের তরুণ মিডফিল্ডারের ভলি ঝাঁপিয়ে পড়েও ঠেকাতে পারেননি কোর্তোয়া।পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এবার আর কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিতে পারেননি জার্মেইন জোন্স।খেলাশেষ হওয়ার ছয় মিনিট আগে যুক্তরাষ্ট্রের বুদ্ধিদীপ্ত একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থকরে দেন কোতোর্য়া। দারুণ একটি ফ্রিকিক থেকে ব্র্যাডলি বল দেনওন্ডোলোস্কিকে। তার কাছে থেকে বিপজ্জনক জায়গায় বল পান ডেম্পসি। কিন্তুকোর্তোয়াকে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি।এরপরও সুযোগ আসে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। কিন্তু কোর্তোয়াকে পরাস্ত করতে না পারায় হার এড়াতে পারেনি উত্তর আমেরিকার দেশটি।বেলজিয়ামের এ জয়ের ফলে এবারই প্রথমবারের মতো প্রতিটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠলো।