রায়নার ছক্কার আঘাতে হাসপাতালে ৬ বছরের শিশু

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাবার হাত ধরে ভারতের চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের শেষ টি২০ ম্যাচ দেখতে এসেছিলো। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা লাগিয়ে ভারতীয় দলের ব্যাটিং তাণ্ডব তারিয়ে তারিয়ে উপভোগও করছিলো সে। মাঠে তখন ব্যাট করছিলেন সুরেশ রায়না। হঠাৎ করে বাঁ পায়ের উরুতে ঠক করে কিছু যেন একটা লাগল। এরপর যন্ত্রণায় ছটফট করতে লাগল বছর ছয়েকের ছোট্ট সতীশ। রায়নার হাঁকানো বিশাল ছক্কায় বলটি উড়ে এসে তার পায়ে লেগেছে। কিন্তু ততোক্ষণে সে ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলেছে। আশেপাশের দর্শকও পড়েছে খানিক অস্বস্তিতে। অগত্যা ছেলেকে নিয়ে স্টেডিয়াম লাগোয়া হাসপাতালে দৌড়লেন সতীশের বাবা। কিন্তু হাসপাতালে যেতে না যেতেই ব্যথা অনেকটা কমে যায় তার। আবারও মাঠে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে সতীশ। অবশেষে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিশুটিকে ছেড়ে দেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসক ম্যাথু চণ্ডী বললেন, রায়নার মারা ওভার বাউন্ডারি এসে লাগে সতীশের উরুতে। এতেই সে আহত হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। শিশুটি সামান্য ব্যথার কথা আমাদের জানিয়েছিলো। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা করেছি। ১০ মিনিট পর ও নিজেই বাকি ম্যাচটা দেখতে যাওয়ার জন্য বায়না শুরু করে। আমরা ওর ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়েছি। তবে চিকিৎসকরা এও জানিয়েছেন, বলটা যদি সতীশের মাথায় কিংবা ঘাড়ে লাগত, তাহলে মারাত্মক কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। কারণ ছ’বছরের ছোট্ট শিশুর ওই আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা ছিলো না। ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে বলের ঘায়ে ১০ বছরের একটি মেয়ে আঘাত পেয়েছিলো।