ম্যাচ বাঁচাতে পারবে বাংলাদেশ?

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: গল টেস্টের তৃতীয় দিনের মতো গতকাল শুক্রবার তৃতীয় দিনও প্রকৃতি কেড়ে নিলো শেষ বেলার খেলা। ১০.৫ ওভার বাকি থাকতেই দিনের খেলা শেষ। এতে অবশ্য বাংলাদেশেরই উপকার হয়েছে। প্রকৃতির এ আশীর্বাদ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কাজে লাগাতে পারবেন আজ?
৪৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধের আগে তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি তুলে ফেলেছে ৬৭ রান। জিততে হলে কাল শেষ দিনে মুশফিকদের করতে হবে আরও ৩৯০ রান! বাস্তবতার বিচারে জয়ের ভাবনা হয়তো বাড়াবাড়ি। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ৪১৩ রানের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। কিন্তু এই পরিসংখ্যান মুশফিকদের খুব একটা সাহস দেবে না যখন জানবেন, গলে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৯৯ রানই তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে এখন পর্যন্ত। ২০১৪ সালের আগস্টে পাকিস্তানের দেয়া ওই মামুলি লক্ষ্য লঙ্কানরা টপকায় ৭ উইকেট হাতে রেখে। গলে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩০০ রান করেও পাকিস্তানের হারের নজির আছে। এ মাঠে চতুর্থ ইনিংসে ২০০ রানের ইনিংস আছে মাত্র সাতটি। এর মধ্যে পাঁচটি ম্যাচেই হেরেছে রান তাড়া করা দলগুলো। বাংলাদেশের লক্ষ্যটা যে তাই পাহাড়সম, তা না বললেও চলছে। কাজেই গল টেস্ট বাংলাদেশ যদি ড্র করতে পারে, সেটাই হবে মুশফিকদের বড় প্রাপ্তি। আর জিতে গেলে তো লিখতে হবে নতুন ইতিহাস। ড্র কঠিন হলেও একেবারে যে অসম্ভব নয়, শেষ বেলায় সেটিরই যেন ইঙ্গিত দিলেন তামিম-সৌম্য। ৪৪ বলে ফিফটি পেয়েছেন সৌম্য। হায়দরাবাদ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২ রানে না ফিরলে টানা তিন টেস্টে চার ফিফটি হয়ে যেতো বাঁহাতি ওপেনারের। চতুর্থ দিন শেষে অপরাজিত ৫৩ রানে। আক্রমণাত্মক সৌম্যর বিপরীতে তামিম খুবই শান্ত। বাঁহাতি ওপেনার অপরাজিত ১৩ রানে (৪৪ বলে)।

চা–বিরতির পর আরও আধঘণ্টা খেলে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুজনই দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। মিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন উপুল থারাঙ্গা। দিনেশ চান্ডিমাল অপরাজিত ৫০ রানে। চোখে লেগে থাকবে লিটন দাসের ক্যাচটি। মিরাজের বলে দারুণ রিফ্লেক্সে নিরোশান ডিকভেলার ক্যাচ নিয়েছেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক। ম্যাচ বাঁচাতে শেষ দিনে বাংলাদেশের একটাই করণীয়—দুর্দান্ত কিছু করতে হবে ব্যাটিংয়ে।