মেসি-নেইমার মানিকজোড়ের সামনে পুঁচকে আপোয়েল

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ঠিক সময়েই জমে উঠেছে লিওনেল মেসি ও নেইমারের জুটি। বার্সেলোনাও এ মানিকজোড়ে ভর করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুর্দান্ত শুরুর অপেক্ষায় আছে। আজ বুধবার ক্যাম্প নউতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে সাইপ্রাসের ক্লাব আপোয়েলের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। ইউরোপসেরার আসরে এবারই প্রথম দেখা হচ্ছে দু দলের। এ পর্যন্ত চারবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা।
অন্যদিকে ২০১১-১২ মরসুমে কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলায় আপোয়েলের সেরা সাফল্য। শক্তির বিচারে স্বাভাবিকভাবেই বার্সেলোনার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আপোয়েল। তৃতীয়বারের মতো ইউরোপসেরার আসরে খেলতে আসা সাইপ্রাসের দলটির জন্য আরো দুঃসংবাদ মেসি ও নেইমার একই সাথে ছন্দে ফিরেছেন। স্পেনের লা লিগার সর্বশেষ ম্যাচে আথলেতিক বিলবাওকে ২-০ গোলে হারায় বার্সেলোনা। ওই ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমে দুটি গোল করেন নেইমার। ব্রাজিলের এ ফরোয়ার্ডের দুটি গোলই মেসির তৈরি করে দেয়া। তবে আপোয়েলের বিপক্ষে বার্সেলোনা পাচ্ছে না চোটে পড়া নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার হাভিয়ের মাসচেরানোকে। কোচ লুইস এনরিকের জন্য স্বস্তির খবরও আছে। চোট কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন ডিফেন্ডার দানি আলভেস ও টমাস ভারমেলেন। জয় দিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০১৪/১৫ মরসুম শুরু করতে চায় বার্সেলোনা। দলটির ফরোয়ার্ড পেদ্রো গত আসরে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে হারের উদাহরণ টেনে বলেন, প্রতি বছরই আমরা এ আসরের ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য ঠিক করি। গতবার আতলেতিকোর কাছে কোয়ার্টার-ফাইনালে হেরে যাওয়াটা ছিলো লজ্জাজনক। ক্যাম্প নউতে খেলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বশেষ ২৭ ম্যাচে বার্সেলোনার হার মাত্র ১টি। তবে আপোয়েল জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নামবে। দলটির গোলরক্ষক উরকো পারদো বলেন, বার্সেলোনা বড় দল এবং তাদেরকে হারানো কঠিন। তবে ইউরোপে খেলার অভিজ্ঞতা আমাদেরও আছে এবং ভালো ফলের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী।