মেলবোর্নের উইকেট কেমন হবে?

স্টাফ রিপোর্টার: চলতি বিশ্বকাপে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি) একমাত্র ভেন্যু, যেখানে বাংলাদেশ খেলতে যাচ্ছে দ্বিতীয়বারের মতো। কাজেই মাশরাফিদের কাছে একেবারেই অপরিচিত নয় ক্রিকেটের এ বিখ্যাত মাঠটি। কথা হলো, আজ কেমন হবে মেলবোর্নের উইকেট? বলা হচ্ছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচের উইকেট যেমন ছিলো আজও তা-ই থাকবে। ন্যাড়া, রানে ভরা উইকেটে সেদিন শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিলো ৩৩২ রান। জবাবে বাংলাদেশ অলআউট ২৪০ রানে। ব্যাটসম্যানরা বুঝে খেললে রান উঠবে সমানে। অবশ্য মেলবোর্নের আকাশ ভারী হওয়ায় সবাইকে নজর রাখতে হচ্ছে আবহাওয়ার দিকেও। আরেকটি ব্যাপার বাংলাদেশকে ভাবাচ্ছে-মাঠের আকার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এমসিজির বড় মাঠের সাথে মানিয়ে নিতে রীতিমতো ঘাম ছুটে গেছে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের। ১৭২.৯ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪৭.৮ মিটার প্রস্থের মাঠে ফিল্ডিং সাজাতে রীতিমতো হিমশিমই খেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সেদিন হাতছাড়া হয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচও। মাশরাফি বিন মুর্তজার করা প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন থিরিমান্নে। প্রথম স্লিপে সহজ কাজটা হাতছাড়া করেন এনামুল হক। ফিফটি করে ফেরা থিরিমান্নে তখন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ৪২তম ওভারের প্রথম বলে পয়েন্টে কুমার সাঙ্গাকারার লোপ্পা ক্যাচ হাতছাড়া করেন মুমিনুল হক। ওই ম্যাচে হারার পর মাশরাফি বিন মুর্তজা আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ক্যাচ ছাড়ার চড়া মূল্য দিতে হলো আমাদের। অবশ্য সেদিন ক্যাচ হাতছাড়ার মিছিলে ছিলেন লঙ্কান ফিল্ডাররাও। কোয়ার্টার ফাইনালের আগে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা সীমানার কাছে ক্যাচ ধরা, দ্রুত থ্রো করার অনুশীলন ও মাঠের বিভিন্ন দিক নিয়ে যথেষ্ট ভেবেছে। এমনকি দ্রুত এক-দুই-তিন রান নিতে রানিং বিটুইন দ্য উইকেট অনুশীলনও করেছেন মাশরাফিরা। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়-টস। মেলবোর্নে দিবারাত্রির ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে জয়ী ম্যাচ সংখ্যা ৫০, আর হার ৪৬ ম্যাচ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার বিষয়টি খুব একটা প্রভাবক হিসেবে কাজ করে না। তবে এ বিশ্বকাপে নিজেদের ছয় ম্যাচের চারটিতে পরে ব্যাট করে জিতেছে ভারত। কাজেই টসে জিতলে পরে ব্যাট করাই শুভ হতে পারে বাংলাদেশের জন্য।