মুস্তাফিজের অভাবে ভুগেই ছিটকে গেছে লাহোর

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তান সুপার লিগে খেলোয়াড় ড্রাফটে ছিলেন গোল্ড ক্যাটাগরিতে। মুস্তাফিজুর রহমানকে প্রথম সুযোগেই কিনে নিয়ে ছিলো লাহোর কালান্দার্স। মুস্তাফিজের অবশ্য শেষ পর্যন্ত খেলা হয়নি। চোট পুরো সেরে না ওঠায় তাকে অনুমতি দেয়নি বিসিবি। লাহোরও বাংলাদেশের এ বাঁহাতি পেসারের অভাবটা ভালোই টের পেয়েছে। পিএসএলের প্লে-অফেও খেলতে পারেনি।
দলটির মালিক ফাওয়াদ রানা স্বীকার করেছেন, মুস্তাফিজের শূন্যতা ভালোভাবেই ভুগিয়েছে তাদের। পিএসএলের প্রথম আসরে খেলেছে মাত্র পাঁচ দল। এদের চারটিই উঠে গেছে প্লে অফে। একমাত্র অভাগা লাহোর। আট ম্যাচের মাত্র দুটিতে জিতেছে, ছয়টিতেই হার। ব্যাটিঙে আলো ছড়ালেও পিএসএলে লাহোর আসলে বেশি ভুগেছে বোলিংয়ে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগমুহূর্ত তারা স্কোয়াডে পায়নি মুস্তাফিজকে। স্পিন শক্তিও দুর্বল হয়ে গেছে ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে ইয়াসির শাহ নিষিদ্ধ হওয়ায়। প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি রান লাহোরের উমর আকমলের, সর্বোচ্চ রান করা চারজনের দুজনই এই দলের। অন্য দিকে বোলারদের শীর্ষ দশেই লাহোরের কেউ নেই। ১১তে আছেন এহসান আদিল, পাঁচ ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র ৭ উইকেট। আর বলার মতো পারফরম্যান্স আছে শুধু বিপিএলে বরিশাল বুলসের হয়ে খেলে যাওয়া অলরাউন্ডার কেভন কুপারের, পাঁচ ম্যাচে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। কিন্তু লাহোরকে প্লে-অফে তোলার জন্য সেটাও যথেষ্ট ছিলো না। ফাওয়াদ রানা এ দুজনের অনুপস্থিতিকেই তাই ‘নিয়ামক’ বলছেন। তবে বাস্তবতাও মেনে নিতে হচ্ছে দলের মালিককে, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, আমরা প্লে অফে জায়গা পাইনি। দলের আরও ভালো করা উচিত ছিলো। মুস্তাফিজ-ইয়াসিরদের না পেয়ে ব্রেট লিকেও আনার চেষ্টা করেছিলো লাহোর। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। চতুর্থ স্থানের জন্য করাচি ও লাহোরের মধ্যেই জোর লড়াই চলেছিলো। কিন্তু ইসলামাবাদের কাছে শেষ ম্যাচ হেরে লাহোরের আশা ভেস্তে যায়। সাকিব-মুশফিকের করাচিই উঠে যায় প্লে-অফে। করাচি-লাহোর দু দলেরই পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে বাদ পড়ে মুস্তাফিজের দল। একটি জয়ই লাহোরকে শেষ চারে নিয়ে যেতে পারতো। অথচ এমন কিছু ম্যাচ আছে, যেখানে ১৯০ কিংবা ২০০ রান করেও লাহোর জেতেনি। জেতাতে পারেনি তাদের দুর্বল বোলিং।