মিসবাহর দৃঢ়তায় লড়াইয়ে পাকিস্তান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের দৃঢ়তাভরা ৯৭ রানের পর সরফরাজ আহমেদের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং দুবাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে রেখেছে। অবশ্য শ্রীলঙ্কার আবার ব্যাটিং নিশ্চিত হলেও পাকিস্তান ঠিক স্বস্তিতে নেই। গতকাল শনিবার চতুর্থ দিনে আলোর স্বল্পতায় ১৫ ওভার আগে খেলা শেষ হওয়ার সময় পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ৩৩০ রান। ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ১০৭ রানে এগিয়ে আছে তারা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের শ্রীলঙ্কার কাছে প্রথমবারের মতো ইনিংস হার এড়ানোর জন্য ৯১ রান প্রয়োজন ছিলো। স্বাগতিক দল তখন তাকিয়ে ইউনুস খান ও মিসবাহর দিকে। তবে শনিবার দলকে হতাশ করেছেন ৬২ রান নিয়ে শুরু করা ইউনুস। সুরঙ্গা লাকমলের বাইরের একটি বল খেলতে গিয়ে এ টেস্টে উইকেটরক্ষক প্রসন্ন জয়াবর্ধনের অষ্টম ক্যাচে পরিণত হয়েছেন পাকিস্তানের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। চতুর্থ দিন ইউনুসের অবদান মাত্র ১৫ রান। ইউনুসের সাথে ১২৯ রানের জুটি ভাঙার পর আসাদ শফিকের (২৩) সাথে ৫২ ও সরফরাজকে সাথে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়েন মিসবাহ। দ্বিতীয় নতুন বলের দ্বিতীয় ওভারে শামিন্দা এরাঙ্গা ফিরিয়ে দেন সতর্ক ব্যাটিং করা শফিককে। চা-বিরতির মিনিট বিশেক আগে রঙ্গনা হেরাথের বলে বোল্ড হয়ে শেষ হয় মিসবাহর ৪১২ মিনিটের প্রতিরোধ। ৫৩ রান নিয়ে খেলা শুরু করা পাকিস্তানের অধিনায়ক শনিবার প্রথম রানটি নেন মুখোমুখি হওয়া ৩৮তম বলে। একটুর জন্য ষষ্ঠ শতক না পাওয়া মিসবাহর ২৪৮ বলের ইনিংসে ৮টি চার ও একটি ছক্কা। মিসবাহর বিদায় শ্রীলঙ্কানদের উজ্জীবিত করলেও তাদের ভীষণ হতাশ করেছেন সরফরাজ ও বিলাওয়াল ভাট্টি। উরুর পেশির চোট নিয়েও সপ্তম উইকেটে সরফরাজের সাথে ৬৭ রানের চমৎকার জুটি গড়েছেন বিলাওয়াল (৩২)। দিনশেষে সরফরাজ ৭০ ও সাঈদ আজমল ৭ রানে অপরাজিত। পঞ্চম টেস্টে প্রথম অর্ধশতকের দেখা পাওয়া সরফরাজের ১২৩ বলের ইনিংসে ৭টি চার।