মমিনুলের সেঞ্চুরি, দিন শেষে স্বস্তিতে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রামের পর মিরপুর। টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন মমিনুল হক। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন তামিম ইকবালও। তবে ব্যক্তিগত ৭০ রানে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের উদ্বোধনী এ ব্যাটসম্যান। মমিনুল-তামিমের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বেশ স্বস্তিতে রয়েছে বাংলাদেশ। দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৬৯ রান। ১২৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মমিনুল। তার সাথে ৩২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন সাকিব আল হাসান। দু ইনিংস মিলিয়ে এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ১১৪ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ, হাতে সাতটি উইকেট। কাল শেষ দিনে অবিশ্বাস্য কিছু না ঘটলে ড্র হতে চলেছে মিরপুর টেস্ট। তামিম সেঞ্চুরি পাননি। তবে দলকে শক্ত ভিত্তি গড়ে দেয়ার পেছনে যথেষ্টই ভূমিকা রেখে যান তিনি। তৃতীয় উইকেটে মমিনুলের সাথে তার ১৫৭ রানের জুটির সুবাদেই এতোটা ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। তামিম আউট হওয়ার আগের ওভারে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট শতকটি পূর্ণ করেন মমিনুল।
নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ১৫৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিলো বাংলাদেশ। শুরুটা ছিলো হতাশার। ৫৫ রানের মধ্যে দুটি উইকেটের পতন ঘটে। এর পরই দলের হাল ধরেন মমিনুল। সাথে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিমের দুর্দান্ত ব্যাটিং তো ছিলোই।

দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ১০ ওভার নির্বিঘ্নেই কাটিয়েছিলো বাংলাদেশ। ১১তম ওভারে আক্রমণে এসেই নিউজিল্যান্ডকে প্রথম সাফল্যটি এনে দেন ওয়াগনার। অফস্ট্যাম্পের বাইরের একটি বল কাট করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এনামুল। দু ওভার পরে বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেটটিও হারায় ওয়াগনারের আঘাতে। এবারও অফস্ট্যাম্পের বাইরের একটি বল ড্রাইভ করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন মার্শাল আইয়ূব। দলীয় ২১২ রানে তামিমের উইকেটটি নেন উইলিয়ামসন। দিনের শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের শেষ দু উইকেট তুলে নিতে স্বাগতিকদের বোলিং করতে হয় মাত্র সাত ওভার। তবে ইশ সোধি আর ওয়াটলিংয়ের লড়াকু ব্যাটিঙে ততক্ষণে কিউই স্কোরবোর্ডে জমা হয়ে গেছে ৪৩৭ রান। প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা এগিয়ে থাকে ১৫৫ রানে।

ওয়াটলিং আর সোধির ৯৩ রানের জুটিটা ভাঙতে খুব বেশিক্ষণ লাগেনি বাংলাদেশের। দিনের চতুর্থ ওভারেই রানআউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন সোধি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান। দু ওভার পরেই কিউইদের শেষ উইকেটটা তুলে নেন আবদুর রাজ্জাক। মাত্র ৪ রান করে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ট্রেন্ট বোল্ট। ৭০ রান করে অপরাজিতই ছিলেন ওয়াটলিং।