ভারত বৃটেন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তাবে শ্রীলঙ্কার আপত্তি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আইসিসিতে তিন মোড়লের ক্ষমতা লাভের লড়াইয়ে নতুন বাধা হাজির করলো শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকে যে সব প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তার আইনি বৈধতা নিয়েই এ বার প্রশ্ন তুলে দিলো শ্রীলঙ্কা।
গত রোববার সিঙ্গাপুরে আইসিসির বৈঠকের আগে পরিস্থিতি এখনো তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। এক দিকে সেই ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। অন্যদিকে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা। আর বাংলাদেশ কৌশলী অবস্থানে। এখনো অবস্থান পরিস্কার করেনি বাংলাদেশ। পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড আগেই তাদের আপত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছিলো। এবার শ্রীলঙ্কা লিখিত আপত্তি তুলে লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ হলো। ভারত স্বার্থ আদায়ের জন্য আইসিসির সদর দফতর শ্রীলঙ্কায় স্থাপনের লোভনীয় টোপ দিয়েছিলো।

আইসিসির আইনি শাখার প্রধানের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে আইনি জটিলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শ্রীলঙ্কা বোর্ডের প্রেসিডেন্ট জয়ন্ত ধমর্দাস। তার বক্তব্য, আইসিসির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী হয়ে পড়েছে এ সব প্রস্তাব। ধর্মদাসের চিঠিতে লেখা হয়েছে, শ্রীলঙ্কা বোর্ডের আইনি বিভাগ আমাদের জানিয়েছে, যে প্রস্তাবগুলোর কথা বলা হয়েছে, তা আইনত বৈধ নয়। শ্রীলঙ্কার আপত্তি দেখা গিয়েছে, মুনাফা বণ্টনের প্রস্তাবে। নতুন খসড়া প্রস্তাবে দেখা যাচ্ছে, সদস্যদের মধ্যে মুনাফা বণ্টন হবে ‘কন্ট্রিবিউশন কস্ট’ নিয়ম মেনে। অর্থাৎ কে কীভাবে ক্রিকেটের প্রতি অবদান রাখলো, তার ভিত্তিতে ঠিক হবে মুনাফা বণ্টনের ফর্মুলা। এখানেই আপত্তি শ্রীলঙ্কার। তাদের বক্তব্য, এ প্রস্তাব মেনে নিলে আইসিসির গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করা হবে। কারণ সেখানে পরিষ্কার বলা আছে, মুনাফা বণ্টন হবে সমপরিমাণে। যে ব্যাপারটা নিয়ে শ্রীলঙ্কা উদ্বিগ্ন, তাহলো, ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামস (এফটিপি)। নতুন খসড়া মেনে নিলে, এফটিপি বাতিল হয়ে যাবে এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী এবার থেকে দু দেশের সফর হবে। উল্লেখ্য সম্প্রতি ভারতের  টেস্ট স্পন্সরশিপ আশঙ্কাভাবে কমে যাবার কারণে দেশটি আইসিসি থেকে বড় অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব তুলে ধরেছে।