ভারত বলেই আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে না বাংলাদেশ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারত সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার পরই শুরু হয়ে গেছে ঝড়। পত্রপত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সবখানে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই দুই দলের ম্যাচ যে বাড়তি উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনেও এলো সে প্রসঙ্গ। কিন্তু মাশরাফি প্রথম সুযোগেই নাকচ করে দিয়ে বললেন, ভারত বলে এই ম্যাচটা বাড়তি কোনো গুরুত্ব পাচ্ছে না। তাঁর কাছে এটা শুধুই আরেকটি ম্যাচ। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল দিয়ে শুরু। সেদিন প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিং আগুন জালিয়ে দিয়েছিল দুই দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্কে। বাংলাদেশে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে মোস্তাফিজকে ধোনির ধাক্কা তাতে জ্বালানি জুগিয়েছে। এশিয়া কাপে টি-টোয়েন্টিতে ফাইনালসহ দুবার মুখোমুখি হওয়া; টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে ১ রানে বাংলাদেশের হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ বাড়িয়েই যাচ্ছে। তবে সবার কাছে এখনো তাজা হয়ে আছে ২০১৫ বিশ্বকাপের স্মৃতি। সে ম্যাচের কথা টেনে এক বিদেশি সাংবাদিক প্রশ্নটা করলেন। বাংলাদেশের জন্য এটা প্রতিশোধের ম্যাচ কি না? বাংলাদেশ অধিনায়ক অবশ্য উড়িয়েই দিলেন এমন ভাবনা,‘আমার মনে হয় না। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডও হতে পারত, হতে পারত অন্য কোনো দল। তাই ভারত বলে আলাদা কিছু ভাবছি না। আমাদের কাছে এটা শুধুই একটা ম্যাচ। আশা করি, চাপ সরিয়ে ভালো খেলব। ভারত অধিনায়ক কোহলি তার আগে বলেছেন, বিশ্বকাপের পর দুই বছর পার হয়ে গেছে। কারও আর সে ম্যাচের কথা মনে নেই। মাশরাফিও বলছেন সে কথা। খেলোয়াড়েরা সেই ম্যাচের স্মৃতি এক পাশে সরিয়েই রেখেছেন, ‘ওই ম্যাচের পর আমরা তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি ওয়ানডে খেলেছি। আমরা আগের মতোই আছি, অবশ্যই ওই ম্যাচের কথা ভুলে গেছি। বিরাট যেটা বলেছে সেটাই সত্যি, ২৪ মাস (২৬ মাস) হয়ে গেছে। আগামীকাল সম্পূর্ণ নতুন একটি ম্যাচ। আমাদের সব আগ্রহ ও চিন্তা এ ম্যাচ নিয়ে। প্রতিশোধের ম্যাচ না হোক, বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এটি। এই প্রথম আইসিসির কোনো প্রতিযোগিতার সেমিতে বাংলাদেশ। মাশরাফিও তবু এটাকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ম্যাচ ভাবছেন না, ‘২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকেই এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে। তবে সেরা আট দলের মধ্যে থাকা এবং সেমিফাইনালে খেলা বাড়তি উত্তেজনা থাকবেই। আপনারা বলতেও পারেন, তবে আমি নিশ্চিত নয়।’