ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৩ জয়

স্টাফ রিপোর্টার: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। এ ম্যাচকে ঘিরে ইতোমধ্যে চায়ের টেবিলে ঝড় উঠেছে। চলমান বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য দেশের ১৬ কোটি বাঙালি এ ম্যাচে টাইগারদেরই এগিয়ে রাখছেন। অন্যদিকে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন ভারত-সমর্থকরা। এ প্রেক্ষাপটে ভারতের বিপক্ষে টাইগাররা যে তিনটি ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে তা তুলে ধরা হলো- ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ (বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম) ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়টি এসেছিলো ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সেদিন সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন ভারতকে ১৫ রানে হারিয়েছিলো হাবিবুল বাশারের বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২২৯ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেছিলেন আফতাব আহমেদ।

জবাবে মাশরাফি, তাপস, খালেদ মাহমুদ, মোহাম্মদ রফিকদের বোলিংয়ের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত। ১৭ মার্চ ২০০৭ (কুইন্স পার্ক ওভাল, ত্রিনিদাদ) বিশ্বকাপে সেবারই ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সেবার ভারতকে ৫ উইকেটে হারায় টাইগাররা। ভারত দলে ছিলেন গাঙ্গুলি, শেবাগ, শচিন, দ্রাবিড়, ধোনির মতো তারকা ক্রিকেটার। তার পরও টস জিতে ব্যাটিঙে নামা ভারত ৪৯.৩ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট হয়েছিলো। ভারতকে এ অল্প রানে সেবার গুটিয়ে দিতে মূল ভূমিকা রেখেছিলেন মাশরাফি। ৩৮ রানে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। এছাড়া রাজ্জাক ও রফিক পেয়েছিলেন ৩টি করে উইকেট। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে ৩ জন ফিফটি করেছিলেন। এ ৩ জন হলেন তামিম (৫১), মুশফিক (৫৬*) ও সাকিব (৫৩)। তিনজনের ফিফটিতে ৪৮.৩ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মাশরাফি। ১৬ মার্চ ২০১২ (মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম)
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ তৃতীয় জয় পায় ২০১২ সালের ১৬ মার্চ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ওই ম্যাচেও বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়লাভ করে। টস হেরে ব্যাটিঙে নেমে শচিনের সেঞ্চুরির (১১৪) এবং কোহলির ৬৬ ও রায়নার ৫১ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮৯ রান করে ভারত। লক্ষ্যটা বড় হলেও বাংলাদেশ ৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেছিলো। তামিমের ৭০, জহুরুলের ৫৩, নাসিরের ৫৪, সাকিবের ৪৯ ও মুশফিকের অপরাজিত ৪৬ রান ৪৯.২ ওভারে বাংলাদেশকে জয়ের (২৯৩) বন্দরে পৌঁছে দিয়েছিলো।

আগামী বৃহস্পতিবার চলতি বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আবারো মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। এ ম্যাচে মাশরাফিদের অনুপ্রেরণা হতে পারে ওই তিন জয়।