‘ব্যার্থতা থেকে শিক্ষা’ ২০১৯ বিশ্বকাপে কাজে লাগাবে বাংলাদেশ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যর্থতার চক্রে আটকে আছে বাংলাদেশ। টেস্ট-ওয়ানডে দুই সংস্করণের প্রতিটি ম্যাচেই প্রোটিয়াদের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। কন্ডিশন কঠিন হলেই যদি পরাজয়ের বৃত্তে আটকা পড়ে, তবে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ২০১৯ বিশ্বকাপে কী করবে বাংলাদেশ—প্রশ্নটা চলে আসছে এখনই। বিষয়টি ভাবাচ্ছে তামিম ইকবালকেও। ঊরুর চোটে পড়ে দলকে রেখে একটু আগেই দেশে ফিরতে হয়েছে তামিমকে। বাঁহাতি ওপেনার গতকাল এসেছিলেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরীর কাছে। চোট নিয়ে তামিম বললেন, ‘দুই সপ্তাহ পুনর্বাসনে থাকতে হবে। এরপর আবার দেখা হবে। বিপিএলে অন্তত দুটি ম্যাচ খেলতে পারবো না।’

বিপিএল গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট হলেও আর সব খেলোয়াড়ের মতো তামিমের অগ্রাধিকারে জাতীয় দল। পুরোপুরি ফিট না হওয়া পর্যন্ত মাঠে ফিরছেন না বলে জানালেন বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার, ‘আমার অগ্রাধিকার জাতীয় দল। পুরো সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলবো না। খেলা উচিতও হবে না। বিপিএল আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে জাতীয় দল সবার আগে। সামনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ আছে (ডিসেম্বরের শেষ দিকে)। অতোদিন সময় লাগবে না যদিও; তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে যতদিন লাগবে, ততদিন সময় নেবো।’ দক্ষিণ আফ্রিকায় হতাশার একটা সফরই গেল তামিমের। ব্যাটিঙে ভালো করতে পারেননি। আবার চোটে পড়ে সফর অসমাপ্ত রেখেই চলে আসতে হয়েছে দেশে। শুধু তামিম কেন, গোটা দলেরই তো ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা! পুরো সফরে শুধু পরাজয় আর পরাজয়! এ ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে চাইছেন তামিম। তাকে এখনই ভাবাচ্ছে ২০১৯ বিশ্বকাপ, ‘যদি বাজে সফর হিসেবে চিন্তা করে সব ভুলে যাই, তাহলে আমরা উন্নতি করতে পারবো না। এখানে কী ঘাটতি ছিলো, সেগুলো বের করতে হবে। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। আমরা জানি, ২০১৯ বিশ্বকাপ হবে ইংল্যান্ডে। সেখানে খেলাও কঠিন আমাদের জন্য। এসব মাথায় রেখে এগোতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় যে সমস্যায় পড়েছি, সেটা থেকে উন্নতি করা দরকার। যদি না করি, তাহলে এগুবে না।’