বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে শেষ ওয়ানডেতেও ইংল্যান্ডের জয়

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সিরিজে জনি বেয়ারস্টোর দ্বিতীয় সেঞ্চুরিকে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ৯ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে ইংলিশরা। সিরিজের একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিলো। সাউদাম্পটন টস হেরে প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিঙে পাঠায় ইংল্যান্ড। শাই হোপের ৭২ রানের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট ইনিংসের ওপর ভর করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যান্যদের মধ্যে ওপেনার ক্রিস গেইল ২৯ বলে ৪০, সুনীল অ্যামব্রিস ২৭ বলে ৩৮ ও কাইল হোপ ৩৩ রান করেন। ইংল্যান্ডের লিয়াম প্লাংকেট ৫৪ রানে ২ উইকেট নেন।

জবাবে জয়ের জন্য ২৮৯ রানের লক্ষে খেলতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার জেসন রয় ও বেয়ারস্টো মারমুখী মেজাজ প্রদর্শন করেন। তাই এই জুটির কাছ থেকে ২১ দশমিক ২ ওভারে ১৫৬ রান পেয়ে যায় ইংলিশরা। এবারও সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়ে ৯৬ রানে থামেন রয়। তবে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ১০০ রান করা বেয়ারস্টো তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত জো রুটকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন বেয়ারস্টো। তখনও ম্যাচের ১২ ওভার বাকী ছিলো। ১৭টি চারের সহায়তায় ১১৪ বলে অপরাজিত ১৪১ রান করেন তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। অন্য প্রান্তে ৪৪ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন রুট।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন বেয়ারস্টো। আর সিরিজ সেরা হন মঈন আলী।

তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতলেও, একমাত্র টি-২০ হারে ইংল্যান্ড। তবে ওয়ানডে সিরিজ দাপটের সাথেই জিতে নিলো তারা। তাই ম্যাচ শেষে ইয়োইন মরগান বলেন, ‘সত্যিই গর্ব করার মতো পারফরমেন্স। সতীর্থদের নৈপুণ্যে আমি মুগ্ধ। বেয়ারস্টোর তার সেরাটা দিয়েছে পুরো সিরিজ। সে দারুন ব্যাটসম্যান।’

আর শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দেয়া জেসন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের বোলাররা খারাপ করেছে। ইংল্যান্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি তারা। বোলাররা খারাপ করার কারণে আমরা এ ম্যাচেও হারলাম।