বীরদের বরণ করলো বার্লিন

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বার্লিন আবার কাঁপলো জার্মানির ফুটবলবীরদের দৃপ্ত পদচারণায়। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বিশেষ একটি বিমানে করে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোথেকে বার্লিনে পৌঁছান ফিলিপ লাম-মেসুত ওজিলরা।বিশ্ব চ্যাম্পিয়নলেখা বিমানটি মাটিতে নামার আগে খুব নিচু দিয়ে চক্করদেয় ব্রান্ডনবুর্গ তোরণ এলাকায় অপেক্ষমাণ কয়েক লাখ সমর্থকের ওপর দিয়ে।সাথে সাথেই উল্লাসে ফেটে পড়ে জার্মানির ফুটবলভক্তরা।বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকেই এ দিনটির অপেক্ষায় উন্মুখ হয়ে ছিলোজার্মানির লাখ লাখ ফুটবলভক্ত। বার্লিনের ঐতিহাসিক ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণেরসামনেই তারা জার্মানির ম্যাচগুলো দেখেছে, আর আনন্দে মেতে উঠেছে। এক মাসেরশ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে সেই ফুটবল তারকারা এ ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণের সামনেহাজির হয়েছেন সশরীরে। সাথে আছে সেই বহু কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ শিরোপাটি।প্যারিসার স্কোয়ারে ৩০০ বছরের পুরোনো ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণের নিচে সবুজকার্পেটে মোড়া ৩০ মিটার লম্বা বিজয় মঞ্চে লাখো মানুষের সামনে তারা তুলেধরেছেন বিশ্বকাপের শিরোপা।

১৯৯০ সালের পর বেশ কয়েকবার শিরোপা জয়ের কাছাকাছি গেলেও শেষ পর্যন্ত হতাশহয়েই ফিরতে হয়েছে জার্মানিকে। কিন্তু ফুটবল-ঈশ্বর এবার আর বিমুখ করেননিজার্মানির ফুটবলভক্তদের। তাই আজ তো প্রিয় তারকাদের ভক্তি অর্ঘ দেবারই দিন।সেই লক্ষ্যে সকাল থেকেই জার্মানির নানা অঞ্চল থেকে এই ব্রান্ডেনবুর্গতোরণের নিচে জমায়েত হয়েছেন তারা, ১৯৯০ সালের পর আবারও একটি বর্ণাঢ্য বিজয়অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে।চারটি তারকা সংবলিত কালো রঙের লম্বা ছাদ খোলা ট্রাকে করে ব্রান্ডনবুর্গতোরণে এসেছেন জার্মানির ফুটবল বীরেরা। পথে হাজার হাজার মানুষ ফুল ছিটয়ে,পতাকা দুলিয়ে,গান গেয়ে তাদের অভিনন্দন জানায়। জার্মানির চারটি বিশ্বকাপজয়ের বছর ১৯৫৪,১৯৭৮,১৯৯০ ও ২০১৪ লেখা ছিলো বেশ বড় করে। বিজয় মঞ্চে পৌঁছেবিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়েরা নেচে-গেয়ে মাতিয়ে তোলেন জার্মানির কয়েক লাখফুটবলপ্রেমীকে।দুদিন আগে এখানেই এক কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ রাস্তাজুড়ে ১১টি বিশালঢাউস টেলিভিশন পর্দার সামনে দাঁড়িয়ে ফাইনাল ম্যাচটি দেখেছিলেন পাঁচ লাখফুটবলভক্ত। গত রোববার জার্মানি বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হলেও গত সোমবার কোনোজাতীয় ছুটি ঘোষিত হয়নি। তবে বিশ্বকাপ জয়ের উল্লাসে অনেকেই কাজে গেছেন দেরিকরে,স্কুলগুলোতে হাজিরার সংখ্যাও ছিলো অনেক কম।