বিসিবি’র ভাবনাতেও বিশ্বকাপ

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এরকম একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভেতরে। সে দফায় বাংলাদেশ প্রবল প্রতাপে এই দু দলকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা নিশ্চিত করেছিলো।

দৌড় শেষ হয়ে যায়নি। এখন চলছে ২০১৯ বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার দৌড়। আগামী বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতে থাকা এই দৌড়ে দৃশ্যত বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও দুশ্চিন্তা আছে ষোলো আনা। আগামী এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ৱ্যাংকিঙে বর্তমান অবস্থান ধরে রাখতে পারলে তবেই মিলবে স্বস্তি। এ অবস্থান ধরে রাখার চাপটা টের পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও। বিসিবির প্রধান নির্বাহী সেটা স্বীকার করেই বলছেন, তারা এখন জাতীয় দলের সব সফর ও সিরিজ বিষয়ক চিন্তা এ ডেটলাইন মাথায় রেখেই করছেন।

নিয়মানুযায়ী আগামী বছর ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ৱ্যাংকিঙে সেরা আটে থাকা দলগুলো সরাসরি খেলবে ২০১৯ বিশ্বকাপে। নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলছিলেন, অবশ্যই ২০১৯ বিশ্বকাপ আমাদের মাথায় আছে। বিশ্বকাপ ও তার ডেটলাইন মাথায় নিয়েই আমরা জাতীয় দলের সূচি নির্ধারণ করছি। এটা খুব চিন্তাভাবনা করেই করা হচ্ছে। আইসিসির ওয়ানডে ৱ্যাংকিঙে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ৯৮ পয়েন্ট নিয়ে ৭ নম্বরে আছে। ৯১ পয়েন্ট নিয়ে ৮ নম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ৮৭ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে পাকিস্তান। ১০৩ ও ১০৪ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা আছে যথাক্রমে ৬ ও ৫ নম্বরে। ফলে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ আছে অসামান্য পারফরম করে ইংল্যান্ড বা শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলার। তেমনই শঙ্কা আছে যে, বাংলাদেশ এই সময়ে পাকিস্তান বা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ধাক্কার শিকারও হতে পারে।

এই শঙ্কার একটা বড় কারণ হলো আগামী বছর খানেক সময়ে বাংলাদেশের ওয়ানডে খেলার সংখ্যা। বাংলাদেশ এ বছর অক্টোবর ও নভেম্বরে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে। এরপর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বিপিএলের সূচি থাকায় সে সময় কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নেই। এরপর ডিসেম্বরে বাংলাদেশ এক মাসের চেয়েও বেশি সময়ের জন্য যাবে নিউজিল্যান্ডে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ এবং এপ্রিলে দুটি সিরিজ হওয়ার কথা শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। মে মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি হিসেবে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং পরের মাসে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আপাতত বাংলাদেশের ওয়ানডে আছে, এমন সিরিজ এ কয়টাই। এতে বাংলাদেশ ১৯টা বা তার চেয়ে একটি-দুটি ম্যাচ বেশি খেলার সুযোগ পাবে।

বিপরীতে এ সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কমপক্ষে ৩৮টি ও পাকিস্তান কমপক্ষে ২৫টি ওয়ানডে খেলবে। এখন চিন্তাটা দাঁড়িয়েছে, এই দু দল বেশি খেলে বাংলাদেশকে টপকে যাবে কিনা। ফলে আরও বেশি ওয়ানডে খেলার তাগিদ দিচ্ছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।