বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে ইতালির ফুটবলারদের অবসরের হিড়িক

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ছয় দশক পর বিশ্বকাপ থেকে বাদ ইতালি। এই ধাক্কা যেন কোনোভাবেই সইতে পারছে না দেশটির ফুটবল। তাই বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার পর দলের ফুটবলারদের যেন অবসর নেয়ার হিড়িক পড়ে গেছে। ইতোমধ্যে দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলার অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।

অবসর নেয়া ফুটবলারদের মধ্যে জিয়ানলুইজি বুফনের বিষয়টা আগে থেকেই অনুমিত ছিলো। কারণ বিশ্বকাপের পর অবসর নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন গোলপোস্টের এই অতন্ত্র প্রহরী। যেহেতু দল চূড়ান্তপর্বে কোয়ালিফাই করতে পারেনি, তাই ৩৯ বছর বয়সী বুফনের অবসরে যাওয়ার ঘোষণাটা সেভাবে আকস্মিক ছিলো না। তবে বুফন ছাড়াও এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার ঘোষণা দিযেছেন ডিফেন্ডার আন্দ্রে বারজাল্লি, মিডফিল্ডার ড্যানিয়েলে ডি রোসি ও জর্জিও চিলিয়েনি। এর মধ্যে ৩৬ বছর বয়সী বারজাল্লি ৭৩ ম্যাচ খেলেছেন ইতালির জার্সি গায়ে। আর ৩৪ বছর বয়সী রোসি ইতালির হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ ১১৭ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ২১টি। আর ৩৩ বছর বয়সী ডিফেন্ডার চিলিয়েনি ৯৬ ম্যাচে অংশ নিয়ে করেছেন ৮ গোল।

এর আগে সোমবার রাতে সুইডেনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বিশ্বকাপের বাছাই থেকেই বিদায় হয়ে যায় ইতালির। দুই লেগ মিলে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ১৯৫৮ সালের পর প্রথম দলটি বিশ্বকাপের বাইরে ছিটকে পড়ে। এই সময়টাকে দেশের ফুটবলের অন্ধকার সময় উল্লেখ করে রোসি বলেন, ‘আমাদের ফুটবলে এটা অন্ধকার সময়। বিশেষ করে যারা বিগত দুই বছর দলের সঙ্গে আমরা ছিলাম তাদের জন্য আরও বেশি অন্ধকারাচ্ছন্ন।’

অপরদিকে চিলিয়েনি আশা করেছেন তরুণদের হাত ধরে ফের ঘুরে দাঁড়াবে ইতালির ফুটবল। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক তরুণ ছেলে আছে। আগামী কয়েক বছর তাদের জন্য একইভাবে ভালবাসা ও সমর্থন দিয়ে যেতে হবে।’

বারজাল্লি ইতালির এই ব্যর্থতাকে ‘একটা যুগের সমাপ্তি’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ফুটবলে এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় হতাশার ঘটনা।’