বিশ্বকাপের ড্র হা হুতাশ বাড়ালো স্বাগতিক বাংলাদেশ দর্শকদের

স্টাফ রিপোর্টার: স্বাগতিক দেশ হিসেবেও যদি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার সুযোগ না পাওয়া যায়, এর চেয়ে বড় আক্ষেপ আর কী হতে পারে! এমন এক আশঙ্কার সামনে বাংলাদেশ। আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে হয়তো নাও খেলতে পারে বাংলাদেশ। কারণ স্বাগতিক দেশ হলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি অংশ নেয়ার সুযোগ থাকছে না বাংলাদেশের। চূড়ান্ত লড়াইয়ে জায়গা করে নেয়ার জন্য আগে খেলতে হবে প্রথম পর্ব, আগেই সেটা জানা গিয়েছিলো। এ নিয়ে স্বাগতিক দর্শকদের হা হুতাশ আরও বাড়লো গতকাল ঢাকার একটি হোটেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু ও সময়সূচি ঘোষণার সময়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ১২টি দল নিয়ে। এবারই প্রথমবারের মতো এখানে অংশ নিতে যাচ্ছে ১৬টি দল। তবে শিরোপা জয়ের মূল লড়াইটা হবে ১০টি দলের মধ্যে। টি-টোয়েন্টি ৱ্যাঙ্কিঙের শীর্ষ আটটি দল সরাসরিই অংশ নেবে এ সুপার টেন পর্যায়ে। ৱ্যাঙ্কিঙের সেরা দশের বাকি দু দল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে পেরিয়ে আসতে হবে প্রথম রাউন্ডের বাধা। প্রথম রাউন্ডে আটটি দলের এ লড়াইটা অনুষ্ঠিত হবে ১৬ থেকে ২১ মার্চ। এ পর্বের খেলাগুলো হবে সিলেটে।

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ছাড়া বাকি কোন ছয়টি দল এ রাউন্ডে খেলবে সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অংশ নিচ্ছে ১৬টি দল। এর থেকেই সেরা ছয়টি দল উঠে আসবে প্রথম রাউন্ডে। আগামী মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে এ বাছাইপর্ব। বিশ্বকাপের মূল পর্বের ১০ দলের আটটি অবশ্য এরই মধ্যেই নিশ্চিত। এ আট দলকেই দুটো গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। সুপার টেন পর্যায়ে একই গ্রুপে পড়েছে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দু ফাইনালিস্ট ভারত ও পাকিস্তান। ২১ মার্চ মিরপুরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এ দু দলের খেলা দিয়েই শুরু হবে চূড়ান্ত পর্বের লড়াই।

কক্সবাজারকে ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত সেটা বাদ দিয়েই অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এ বিশ্বকাপ। এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকলেও সিলেটকে রাখা হয়েছে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে। স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য বাংলাদেশকে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে আইসিসি। এই কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিলো ৩০ সেপ্টেম্বর। প্রস্তুতি নিয়ে অনেকের সংশয় থাকলেও বাংলাদেশ বিশ্বকাপটা বেশ ভালোভাবেই আয়োজন করতে পারবে বলে আশাবাদী আইসিসির মহাব্যবস্থাপক ক্যাম্পবেল জেমিসন। পূর্ব অভিজ্ঞতাই সাহস জোগাচ্ছে জেমিসনকে। তিনি বলেছেন, ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (মিনি বিশ্বকাপ) আয়োজন করেছে। আর খুব সম্প্রতি ২০১১ সালে বিশ্বকাপও অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে। এ ছাড়াও ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে আমি আশাবাদী যে বাংলাদেশ আরও একবার বিশ্বমানের একটা প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারবে। সুপার টেন গ্রুপ: গ্রুপ ১: শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও ১ নম্বর বাছাই, গ্রুপ ২: ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও ২ নম্বর বাছাই