বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে আইসিসির বিশেষ মিশন কেন?

মাথাভাঙ্গা মনিটর: এমন তো না, সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের বোলাররা একসাথে সবাই হুট করে আকাশ ফুঁড়ে বেরিয়েছে। এমন তো নয়, চেকিঙের সমস্যাটা আগে ছিলো না। কিন্তু আইসিসি হঠাৎ খ্যাপলো কেন? কেন রীতিমতো ক্র্যাকডাউন মিশন নিয়ে মাঠে নামলো? একের পর এক বোলারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো। নিষিদ্ধ করা হলো সাঈদ আজমল, সুনীল নারাইন, সোহাগ গাজী, প্রসপার উতসেয়ার মতো নিজ নিজ দলের মূল বোলারদের? সেটিও কি-না বিশ্বকাপের একদম আগমুহূর্তে। যখন মাত্র চার মাসের দূরত্বে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর। গত জুলাই থেকে এ পর্যন্ত দশজন বোলারের অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো তাই উঠছে। বাংলাদেশের মতো সারা বিশ্বের ক্রিকেট সমর্থকেরা এ প্রশ্নগুলো করছেন। কেউ কেউ সামগ্রিক ঘটনায় বড় জমিদার ভারতের হাত দেখতে পাচ্ছেন। প্রশ্ন তুলেছেন ভিভ রিচার্ডসের মতো কিংবদন্তিও। সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যানেরও একই প্রশ্ন, ঠিক এই সময়ে এ বিশেষ অভিযানে কেন নামলো আইসিসি? রিচার্ডস বলেছেন, আমার মত হলো, এই পদক্ষেপ আরও আগে আরও বড় পরিসরে নেয়া উচিত ছিলো। কারণ, যে খেলোয়াড়দের এখন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, তারা তো অনেক দিন ধরেই খেলছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন ভারত সফর করছে, সামনের বছরেই বিশ্বকাপ। জানি না এসবের সাথে বিশ্বকাপের কোনো যোগসূত্র আছে কি-না। আমি শুধু মনে করি, এমন পদক্ষেপ যথাযথ সময়ে নিলেই ভালো হতো। বিশ্বকাপ যখন দুয়ারে, সেই সময় এমন পদক্ষেপ নেয়া মোটেও ঠিক হয়নি। নিজে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের টেকনিকাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন। নারাইনের অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়াটাই বেশি করে পোড়াচ্ছে তাকে, সুনীল মুরালিধরনের মতো রহস্যময় এক স্পিনার। অন্য যেকোনো দলের তুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজই তাই বেশি করে ভুগবে ও না থাকায়।