বাংলাদেশের সামনে আইসিসির টেস্ট চ্যালেঞ্জ

স্টাফ রিপোর্টার: তিন মোড়ল এর প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছিলো সিঙ্গাপুরে গত ফেব্রুয়ারির আইসিসির সভায়। দুবাইয়ে এবারের বৈঠকে নিশ্চিত হয়েছে, আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর সামনে খুলেছে টেস্টের দুয়ার। আর তাদের এ মর্যাদা পাওয়ার লড়াইটা হতে পারে বাংলাদেশের বিপক্ষে আইসিসি টেস্ট চ্যালেঞ্জ খেলে। ২০১৭ সালের শেষ পর্যন্ত টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের দশম অবস্থানে থাকলে বাংলাদেশকেই সহযোগী কোনো দেশের সাথে চার ম্যাচের এ প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে সভা শেষে আইসিসির পরিচালনা পর্ষদ আইসিসি টেস্ট চ্যালেঞ্জের অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি চার বছর পরপর আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের সবচেয়ে নিচের দলটির বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাবে আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ বিজয়ী দল। প্রস্তাবে বলা হয়, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরে অথবা সে সময় চলতে থাকা কোনো সিরিজ শেষ হওয়ার পর আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের দশম দলটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের বিজয়ী দলের বিপক্ষে পাঁচ দিনের চারটি ম্যাচ খেলবে। এর মধ্যে দুটি করে ম্যাচ নিজেদের মাঠে খেলবে দলগুলো। আর এ চার ম্যাচকেই বলা হচ্ছে আইসিসি টেস্ট চ্যালেঞ্জ যার প্রথমটা হবে ২০১৮ সালে। সহযোগী দেশটি আইসিসি টেস্ট চ্যালেঞ্জ জিতলে টেস্ট মর্যাদা পাবে বলে সিঙ্গাপুরে গত ৮ ফেব্রুয়ারির বোর্ডসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। আগামী আট বছরে দুটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ আয়োজনের পরিকল্পনা আছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির। প্রথমটি চলবে ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত। আর পরেরটি হবে ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। ২০২২ সালে হবে দ্বিতীয় আইসিসি টেস্ট চ্যালেঞ্জ। এ প্রসঙ্গে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন বলেন, আইসিসি টেস্ট চ্যালেঞ্জ সহযোগী দেশগুলোকে টেস্ট খেলার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এতে আরো বেশি গুরুত্ব পেল কন্টিনেন্টাল কাপ, যা টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার সোপান হয়ে দাঁড়ালো।