বাংলাদেশের লক্ষ্য ৪৬৭ রান

স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। কারণ স্বাগতিক দলের জয়ের লক্ষ্য ৪৬৭ রান। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের অবশ্য আপাতত জয়ের চেয়ে ম্যাচ বাঁচানোর দিকেই লক্ষ্য বেশি। গতকাল শুক্রবার চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে দলের কোনো ক্ষতি হতে দেননি তামিম ইকবাল ও শামসুর রহমান। ৮ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১২ রান। তামিম ৭ ও শামসুর ৪ রানে অপরাজিত। এর আগে কুমার সাঙ্গাকারা ও দীনেশ চান্দিমালের শতকের ওপরে ভর করে ৪ উইকেটে ৩০৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। ১৬১ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালো হয়নি। ৪৯ রানে দু উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দিমুথ করুনারত্নে (১৫) স্লিপে নাসির হোসেনের দর্শনীয় ক্যাচে পরিণত করার পর কৌশল সিলভাকে (২৯) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। মধ্যাহ্ন-বিরতি পর আবার শ্রীলঙ্কার জন্য আঘাত। প্রথম টেস্টে দ্বিশতক করা মাহেলা জয়াবর্ধনেকে (১১) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব আল হাসান। তবে আবার সফল কুমার সাঙ্গাকারা। প্রথম ইনিংসে ত্রিশতক করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে শতক করেন তিনি। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক গ্রাহাম গুচের পর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একই টেস্টে ত্রিশতক ও শতক করলেন সাঙ্গাকারা। ১৯৯০ সালে লর্ডস টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ৩৩৩ ও ১২৩ রান করেছিলেন গুচ। সোহাগ গাজীর বলে ছক্কা মেরে শতকে পৌঁছান সাঙ্গাকারা। এটি তার ৩৫তম ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম শতক। ১৪৪ বলের দুর্দান্ত ইনিংসটাতে ছিল ১১টি চার ও দুটি ছক্কা। তবে শতকে পৌঁছুনোর পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান সাঙ্গাকারা। ১০৫ রানের চমৎকার ইনিংস খেলার পথে দীনেশ চান্দিমালের সাথে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। এরপর অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সাথে ৮২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন চান্দিমাল। ১৫৮ বলে ৪টি চারের সাহায্যে চান্দিমাল (অপরাজিত ১০০) তৃতীয় শতকে পৌঁছুনোর পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাথিউস। বাংলাদেশের পক্ষে ৪৬ রানে ২ উইকেট নেন মাহমুদুল্লাহ। এর আগে ৮ উইকেটে ৪০৯ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ৪২৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার মাত্র ২৯ বল স্থায়ী হয় স্বাগতিকদের ইনিংস। দিনের প্রথম ওভারে মাহমুদুল্লাহর বিদায়ে সংগ্রহ বড় করার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। অজন্তা মেন্ডিসের বলে শর্ট লেগে সিলভার হাতে ধরা পড়েন মাহমুদুল্লাহ। এক ওভার বিরতির পর আবার আঘাত হানেন মেন্ডিস। আল-আমিন হোসেনকে (৯) ফিরিয়ে দিয়ে দলকে ১৬১ রানের বিশাল লিড এনে দেন তিনি। ৯৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার মেন্ডিস। টেস্টে এ স্পিনারের সেরা বোলিং। সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা: ৫৮৭ ও ৩০৫। বাংলাদেশ: ৪২৬ ও (তামিম ৭*, শামসুর ৪*;)