প্রীতির দল নিয়ে সব অপ্রীতিকর খবর

মাথাভাঙ্গা মনিটর: টানা আট বছর খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। এ মরসুমেও বোধ হয় খালি হাতেই ফিরতে হবে প্রীতি জিনতাকে। আইপিএলের এ আসরেও যে শিরোপা দৌড় থেকে প্রায় ছিটকে গেছে প্রীতির দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। শুধু মাঠের বাজে পারফরম্যান্স নয়, মাঠের বাইরেও একের পর এক অপ্রীতিকর সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে প্রীতির দল। ব্যাটিং লাইনআপ দেখে এ আসরে ফেবারিট ভাবা হচ্ছিলো পাঞ্জাব দলকে। কিন্তু তা আর হলো কই! শুরু থেকেই টানা হার। প্রথমে ডেভিড মিলারের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়া হলো। এরপর চোটের কারণে দেশে ফেরত পাঠানো হলো শন মার্শকে। কিন্তু তার কদিন পরেই সংবাদমাধ্যমে এল নতুন খবর। চোট নয়, ড্রেসিংরুমে এক সতীর্থকে ঘুষি মারার কারণেই তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে! মার্শের দু অস্ট্রেলিয়ান সতীর্থ গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল জনসন ‘কাল্পনিক’ দাবি করে এমন খবর উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এ নিয়ে পাঞ্জাব ও মার্শের নিজের চুপ থাকা সন্দেহ বাড়িয়ে দিয়েছে।

মার্শ-বিতর্ক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে ১ রানে হেরে পয়েন্ট টেবিলের সবার নিচে চলে গেছে পাঞ্জাব। ওই ম্যাচে অক্ষর প্যাটেলকে আগে না নামিয়ে ফারহান বেহারডিয়েনকে নামানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত প্রীতি কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারকে নাকি ম্যাচ শেষে গালাগাল করেছেন। খবরটি এতোই শোরগোল তোলে যে শেষ পর্যন্ত প্রীতি ও বাঙ্গার দুজনকেই আলাদা করে ঘটনা অস্বীকার করে বিবৃতি দিতে হয়েছে। তবে ম্যাচ শেষে দুজনের মধ্যে যে এ নিয়ে বাক্য বিনিময় হয়েছে তা অস্বীকার করেননি কেউই। আইপিএলে আর ৪ ম্যাচ বাকি পাঞ্জাবের। কোয়ালিফায়ারে জায়গা পেতে হলে দলটিকে অলৌকিক কিছু পেতে হবে। কিন্তু তার আগে যে অপ্রীতিকর সব খবর থেকে মুক্ত হতে হবে প্রীতি’র দলকে।