পাকিস্তানে তিন ম্যাচ খেলেই ৮২ লাখ করে পাচ্ছেন তামিমরা!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরাতে ইতিমধ্যেই সফল আইসিসির অভিনব উদ্যোগ। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের গ্যালারি যেমন টইটম্বুর, তেমনি জমে উঠেছে সিরিজও। এই সিরিজ দিয়ে পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরানোর অংশীদার হয়ে রইলেন বিশ্ব একাদশের তামিম ইকবাল-হাশিম আমলারা। আনুষ্ঠানিকভাবে না জানানো হলেও এই সফরে খেলে বেশ মোটাঅঙ্কের অর্থই পাচ্ছেন বিশ্ব একাদশের ক্রিকেটাররা। ‘ইনডিপেনডেন্ট কাপ’ নামের এই সিরিজে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মোট বাজেট ২৫ থেকে ৩০ লাখ ডলার। এর সিংহভাগ অর্থই খরচ হবে বিশ্ব একাদশের খেলোয়াড়দের জন্য। জানা গেছে, তিন ম্যাচের এ সিরিজ খেলে প্রায় ১ লাখ ডলার করে পাবেন বিশ্ব একাদশের প্রত্যেক খেলোয়াড়। এর আগে একই পরিমাণ ম্যাচ ফি পাওয়ার কথা জানিয়েছিলো ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফও। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা ৮২ লাখ টাকার কিছু বেশি। প্রতি ম্যাচের জন্য ২৭ লাখ টাকার বেশি করে পাচ্ছেন তামিমরা। গত এপ্রিলে বিসিবি বেতন বাড়ানোর পর টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচপ্রতি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। অর্থাৎ এ ফরম্যাটে তিন ম্যাচের আন্তর্জাতিক সিরিজে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি দাঁড়ায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। সেখানে পাকিস্তানে সেই একই ফরম্যাটের সিরিজ খেলে ৮২ লাখ টাকার ওপরে পাচ্ছেন তামিম। আইসিসি এ তিনটি ম্যাচকেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মর্যাদা দিয়েছে। তবে টাকার অঙ্ক দেখে চোখ কপালে তোলার কিছু নেই। পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে বহু আগে থেকেই মরিয়া পিসিবি। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা শঙ্কা কাটিয়ে তাদের পাকিস্তানে উড়িয়ে আনতে দুপয়সা বেশি খরচ তো হবেই। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আর কোনো বড় দল পাকিস্তান সফরে যায়নি। ঘরের মাঠে সিরিজ আয়োজন করতে না পারায় বিশ্লেষকদের ধারণা ছিলো, পিসিবির আর্থিক অবস্থান হয়তো খুবই নাজুক। তবে এখন জানা যাচ্ছে, ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছরই আর্থিকভাবে লাভের মুখ দেখছে পিসিবি। তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৫-১৬ মরসুমে লাভের অঙ্ক ছিলো ১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। ফলে টাকা খরচ করতে কোনো কার্পণ্য নেই পিসিবির।