পাকিস্তানকে সহযোগিতা করবে আইসিসি

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: চলতি বছরের শেষে বিশ্ব একাদশের প্রস্তাবিত পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পুনরায় পাকিস্তানের মাটিতে ফিরে আসবে বলেই সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ জানিয়েছেন। শুক্রবার আইসিসির কাউন্সিলে এ সংক্রান্ত আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে পাকিস্তানে বছরের শেষে বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে তিনটি টি২০ ম্যাচে আইসিসি পূর্ণ সহযোগিতা করবে। আর ম্যাচগুলোকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা দেবারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আইসিসি’র এই ধরনের সিদ্ধান্তে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত পাকিস্তান স্বস্তির হাসি হাসতেই পারে। আদৌ যদি প্রস্তাবিত টি২০ সিরিজটি আয়োজিত হয় তবে পাকিস্তানের পুনরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরে আসবে, এটা নিশ্চিতভাবে বলাই যেতে পারে। এর আগে অবশ্য পিএসএল ফাইনালে লাহোরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বেশ সফলভাবেই ম্যাচটি শেষ হয়েছিল। সেই আয়োজনে খোদ আইসিসিও দারুণ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিল। ঐ সময়ই আইসিসি’র পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পুনরায় পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনার একটি ইঙ্গিতও পাওয়া গিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বরে লাহোরেই বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে টি২০ সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবির এক ঘনিষ্ঠ সূত্রমতে জানা গেছে আইসিসির কাউন্সিল সভায় নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়া তারিখ ও অন্যান্য আরো কিছু বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলংকা দলকে বহনকারী বাসে সন্ত্রাসী হামলার জেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পাকিস্তানকে ভেন্যু হিসেবে নির্বাসিত করা হয়। ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সীমিত ওভারের সিরিজ আয়োজন করে পাকিস্তান। কিন্তু তারপরেও অন্যান্য টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো পাকিস্তানের যেতে অপারগতা জানায়। যে কারণে গত বেশ কয়েক বছর যাবত বাধ্য হয়েই সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হোম ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছে পাকিস্তান। পিএসএল এর সফল আয়োজনের পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় ইউনিয়ন সেখানে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পরে দুই ম্যাচের টি-২০ ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশের পাকিস্তানের যাবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করে দেয় বিসিবি।