নেইমারই ব্রাজিলের নেতা, অধিনায়ক সে যিনিই হোন

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ব্রাজিলের গত দুটি বড় অর্জন তার হাত ধরেই। ফিফা কনফেডারেশনস কাপের ট্রফির পর অলিম্পিক ফুটবলের সোনাও জিতিয়েছেন নেইমার। পরেরটি তো সরাসরি অধিনায়কের ভূমিকায়, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে। কিন্তু রাগেই হোক কিংবা অভিমানে, অধিনায়কের বাহুবন্ধনী ফিরিয়ে দিয়েছেন বার্সেলোনা তারকা। ব্রাজিলের নতুন কোচ তিতে নেইমারের সিদ্ধান্তকে স্বাগতই জানাচ্ছেন। তবে এও বুঝিয়ে দিয়েছেন, ব্রাজিলের নতুন অধিনায়ক যিনিই হন, নেইমারই হবেন দলের নেতা।

গতকাল কোচ হিসেবে প্রথম দল ঘোষণা করেছেন তিতে। আর কদিন পরেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। সংবাদ সম্মেলনে তিতে বলেছেন, (অলিম্পিক জেতার পর) ও বলেছে, আমি আর অধিনায়ক থাকতে চাই না। আমি বলেছি, আগে বাড়িতে ফিরে গিয়ে এই মেডেলটা উদ্‌যাপন করো। অধিনায়কের ব্যাপারটা নিয়ে পরেও ভাবা যাবে। কেন? কারণ, নেতা হওয়ার বিষয়টি অনেক দিক দিয়ে নির্ভর করে: এটার একটা কৌশলগত দিক আছে। একটা কৌশলগত নেতৃত্ব। আর ও আমাদের কৌশলগত নেতা।’

নেইমারকে অধিনায়ক না রাখলে সেটা উভয়ের জন্যই ভালো হবে বলে মনে করেন অনেকে। নেইমারও চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারবেন। আবার নেইমার বড্ড আবেগপ্রবণ। ব্রাজিল সমর্থকদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটায় আছে টানাপোড়েন। অধিনায়কদের কিছু ক্ষেত্রে একটু কূটনৈতিক হওয়াই ভালো। সরাসরি না বলেও তিতে ঠিক এই জায়গাতেই দলের মুখপাত্র হিসেবে আরেকজনকে চাইছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘অধিনায়কের আরেকটি দিক হলো আপনি আপনার ভাবনা কীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন। অধিনায়ককে সব সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। নেইমারের এর সব গুণই আছে। তবে যেহেতু একজন নেতার অনেকগুলো বৈচিত্র্যময় দিক দরকার, তাই এই কাজটা অন্য কেউ করতে পারে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ আছে ব্রাজিলের। ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পরের ম্যাচ দুটি পর্যন্ত নেইমারকে ছুটি দিয়েছে বার্সেলোনা।