নির্বাচিত হলে ক্রীড়া সংস্থাকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করবো ইনশাআল্লাহ

 

বখতিয়ার হোসেন বকুল: চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন আগামীকাল শুক্রবার। এবারের নির্বাচন ক্রীড়ামোদীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দুটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে চলছে ভোটারদের কাছে ছোটাছুটি। এদের মধ্যে সিদ্দিক- সেলিম প্যানেলভুক্ত কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী এখলাস উদ্দীন সুজন বলেছেন, নির্বাচিত হলে ক্রীড়া সংস্থাকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করবো ইনশাআল্লাহ।

এখলাস উদ্দীন সুজন দামুড়হুদার ক্রীড়াজগতকে খুব অল্প সময়ে নিয়ে গেছেন অন্য মাত্রায়। যোগ করেছেন বেশ কিছু সাফল্যের পালক। ১৯৮৩ সালের ২৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। দামুড়হুদা দশমীপাড়ার হাজি মো. বদর উদ্দীন ও হাজি মনোয়ারা বেগমের সন্তান এখলাস উদ্দীন সুজনের শিশুকাল থেকেই খেলাধুলার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি ছিলো প্রবল ঝোঁক। বর্তমানে যেমন তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী তেমনই ক্রীড়া সংগঠক। দামুড়হুদা ইয়াংস্টারের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন তিনি। বছর পাঁচেক ওই ক্লাবের দলপতির ধকল সামলাতে হয়েছে তাকে। ১৩ বছর বয়সেই জেলা লিগে অভিষেক হলেও লেখাপড়ার জন্য তাকে ঢাকায় অবস্থান করতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ করাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়েও ভালো খেলোয়াড় হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে তার নাম। পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে একাধিক বহুজাতিক কোম্পানিতে কয়েক বছর চাকরির পর সুজন বর্তমানে সফল ব্যবসায়ী। দামুড়হুদায় গড়ে তুলেছেন ড্রিম সেন্টার লাইব্রেরির পাশাপাশি দামুড়হুদা স্পোর্র্টিং ক্লাব। তিনি বর্তমানে ওই ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

এখলাস উদ্দীন সুজন মাথাভাঙ্গার দামুড়হুদা প্রতিনিধির সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তুলে ধরলেন তার আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার কথা। তিনি বলেন, ক্রীড়ার বিকাশ তথা ক্রীড়ার মানন্নোয়নের প্রথম ও প্রধান শর্তই হচ্ছে আর্থিকভাবে শক্তিশালী হওয়া। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল কোনো প্রতিষ্ঠান ক্রীড়ার বিকাশ ঘটাতে পারে না। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্রিকেটের যে জোয়ার তার পেছনেও শক্তিশালী অর্থ যোগানের ভূমিকাই প্রধান। তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে ক্রীড়ার দুরবস্থার পেছনে দুর্বল অর্থ ব্যবস্থাপনাই দায়ী। তিনি নির্বাচিত হলে জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চান। যাতে অর্থের অভাবে জেলার ক্রীড়াঙ্গন যেন পিছিয়ে না পড়ে। জেলার ক্রীড়ামোদী মানুষও তার মতোই স্বপ্ন দেখেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরিশেষে তিনি জেলা ক্রীড়াঙ্গনের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সকলের সমর্থন, দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।