নিজের কাঁধে দায় নিলেন সাকিব

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: এমনিতে সাকিবের আউট হওয়ার ধরন আলোচনার খোরাক যোগায় প্রায়ই। তবে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে তার দায় ছিলো সামান্যই। অনিয়মিত অফ স্পিনার ট্রাভিস হেডের বলটি খেলেছিলেন দু কদম বেরিয়ে এসে। কিন্তু প্যাডে লাগার পর আউট দিয়ে দিলেন আম্পায়ার! আম্পায়ার নাইজেল লং যখন আঙুল তুললেন, বিশ্বাস করতে পারছিলেন না অনেকেই। সাকিবও সঙ্গে সঙ্গেই নেন রিভিউ। তবে আম্পায়ার্স কলে থেকে যায় মাঠের সিদ্ধান্ত। মাঠের আম্পায়ার আউট দেয়ার পর এখানে রিভিউয়ে করার থাকে সামান্যই। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তটিই ছিলো বিস্ময়কর। এসব ক্ষেত্রে দশবারের নয়বারই হয়তো এটি আউট দেবেন না কোনো আম্পায়ার। আউটের প্রসঙ্গে মুখে হাসি থাকলেও সাকিব জবাবটা দিলেন সাকিবীয় নির্লিপ্ততায়, ‘সাধারণত দেয় না এরকম আউট। এখন আম্পায়ার মনে করেছে, দিয়েছে আউট। এটা তো আর কিছু বলার নেই (হাসি)।’

সাকিবের ওই আউট বাংলাদেশের জন্য এসেছিলো বড় ধাক্কা হয়ে। শুরুর বিপর্যয়ের পর তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের জুটিতেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু ওই আউটে ভাঙলো ৬৯ রানের জুটি। আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি ব্যাটিং। নিজের ব্যাপারে কথা বলায় বরাবরই উদাসীন সাকিব যথারীতি ব্যক্তিগত হতাশা ছড়িয়ে দিতে চাইলেন না, ‘যে কোনো আউটই হতাশার। এখন আর এটা নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। যেটা চলে গেছে তো গেছেই।’

এমনিতে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করলেও এদিন ২৯ করেছেন ৪৮ বলে। সাবধানী খেলেও শেষরক্ষা হলো না। সাকিব আউট হওয়ার পর বাকি ৬ উইকেট নিয়ে দল করতে পেরেছে আর মাত্র ৬০ রান। থিতু হয়েও আউট হওয়ার দায় অকপটেই নিয়ে নিচ্ছেন সাকিব। তার ব্যর্থতায় দলের ভোগান্তিটাও মেনে নিচ্ছেন, ‘ব্যাটিং প্রতিদিন তো সবার ভালো হবে না। যেদিন যার ভালো হবে সে যদি বড় করতে পারে, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। আমি টিকে থাকলে হয়ত খেলাটা অন্যরকম হতো। তামিম তখন আরও স্বাধীনভাবে খেলত। আরো বেশি রান হতো। আমি থাকলে হয়তো রান ২৬০ হতে পারত। সেটি হলে, আজকের উইকেটে আমাদের সম্ভাবনা ছিলো। কারণ উইকেট ভিন্ন ছিল। আগের দিনের মত ৩২০-৩৩০ রানের উইকেট নয়। বল উঠা নামা করছিল। মেঘলা আকাশ হওয়ায় মুভমেন্টও ছিলো।