নতুন শুরুর অপেক্ষায় বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: নতুন অধিনায়কের অধীনে নতুন শুরুর প্রত্যাশায় আছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে বছরের প্রথম জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ শূক্রবার মাঠে নামবে তারা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে বেলা দেড়টায়। চলতি বছর ওয়ানডেতে এখনো কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। তবে চট্টগ্রামে শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে স্বাগতিকরা। বছরটা ভীষণ বাজে কাটানো বাংলাদেশ ছন্দে ফিরতে শুরু করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। ৩-০ ব্যবধানের সেই জয়ে হারানো আত্মবিশ্বাস অনেকটাই ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজের বেশিরভাগ খেলোয়াড় ওয়ানডে সিরিজেও থাকায় কাজটা সহজ হবে বলে মনে করেন মাশরাফি। যারা টেস্ট সিরিজে খেলেছে তাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি থাকবে। এটা পুরো দলের ওপর ভালো প্রভাব ফেলবে। এ বছরটা আমরা মাঝামাঝি অবস্থায় ছিলাম এমন বলার সুযোগ নেই। আমরা খুব খারাপ খেলেছি। এটা আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর ভালো সুযোগ।

এ সিরিজ দিয়ে দুই অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। টেস্ট ক্রিকেটে মুশফিকুর রহিম ও ওয়ানডেতে মাশরাফির নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ। নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক জানান, দুই ধরনের দু জন অধিনায়ক থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না। মাশরাফি, সাব্বির রহমান ও আরাফাত সানি ছাড়া বাকি সবাই টেস্ট সিরিজে দলে ছিলেন। প্রথম টেস্টের পর আল-আমিন পরীক্ষার জন্য নিজেকে সরিয়ে নেয়ায় বোলিং নিয়েই কেবল নতুন পরিকল্পনা করতে হবে বলে মনে করেন মাশরাফি। দিন-রাতের ম্যাচে শিশির বড় একটা ভূমিকা রাখতে পারে। তাই টস ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শিশির নিয়ে দুর্ভাবনায় আছেন বাংলাদেশের অধিনায়কও। পরে বোলিং করতে হলে তিন স্পিনার সাকিব, সানি ও জুবায়ের হোসেনের বল করা কঠিন হতে পারে। কন্ডিশনের কথা চিন্তা করে তিন পেসার নিয়ে খেলতে পারে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে ওয়ানডে অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে লেগস্পিনার জুবায়েরকে। মাশরাফি, আল-আমিনের সাথে তৃতীয় পেসার হিসেবে খেলবে পারেন রুবেল হোসেন অথবা শেষ সময়ে দলে আসা শফিউল ইসলাম।

কোনো টেস্ট খেলার সুযোগ না পেলেও প্রথম ওয়ানডে খেলতে পারেন এনামুল হক। অভিষেক হতে পারে সাব্বির রহমানের। তবে তৃতীয় টেস্টে শতক পাওয়া ইমরুল কায়েস খেললে আরো অপেক্ষা করতে হতে পারে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলা সাব্বিরের। বাংলাদেশের অধিনায়ক মনে করেন, নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে কন্ডিশনের সহায়তা প্রয়োজন হবে না তাদের। তার দৃঢ় বিশ্বাস, সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে যে কোনো কন্ডিশনে জেতার সামর্থ্য তাদের আছে। এ বছর ১৩টি ওয়ানডে খেলে ১২টিতেই হারে বাংলাদেশ, অন্য ম্যাচটি ড্র হয়। জয়ে ফিরতে তাই মরিয়া বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের সব ম্যাচ জিতলে আইসিসি ওয়ানডে ৱ্যাঙ্কিঙে সাত ও আট নম্বরে থাকা নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ব্যবধান কমানোর সুযোগ রয়েছে স্বাগতিকদের। সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন মাশরাফিরা।