দামুড়হুদা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সুজিৎ কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিটি কাজে ঘুষগ্রহণ, সময়মতো অফিসে না আসা এবং দুপুরের পরপরই অফিস ত্যাগ করে চলে যাওয়াসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন একই অফিসের জুনিয়র অডিটর মাজেদ হোসেন। তিনি বলেন, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সুজিৎ কুমার বিশ্বাস দামুড়হুদায় যোগদানের পর থেকে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে চলেছেন। তিনি গত জুন মাসে ৯ হাজার ৯৫ টাকার একটি টিএ বিল খুলনা ডিসিএ কার্যালয়ে পাঠান। ডিসিএ অফিস থেকে ওই বিল কেটে দিয়ে ৭ হাজার ৯৫ টাকার অনুমোদন দেয়। কিন্তু উনি ২২ জুন ওই ৯ হাজার ৯৫ টাকার বিল তুলে নেন। আমি ওই অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি পরবর্তীতে ১০ জুলাই ওই ২ হাজার টাকা চালানে জমা দেন। সেই থেকে উনি আমার ওপর ক্ষেপে রয়েছেন। আমাকে নানাভাবে অপদস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। তারই রেশ ধরে গত বুধবার একট তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমাকে বিশ্রিভাষায় গালাগালি করেন এবং আমার নামে মিথা অভিযোগ করেন। তিনি চলতি বছরের জুন মাসে আলমডাঙ্গা উপজেলার হিসাবরক্ষক হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে যে সমস্ত রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয় ওই সমস্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে শিক্ষকদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং তা মাথাভাঙ্গা পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ফলাও করে লেখালেখিও হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে তাকে ওই অফিসের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেন। তিনি ২০১২ সালের ২৪ ডিসেম্বর অফিসের মুদ্রাক্ষরিক ইকবালের সাথে যোগসাজশ করে তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী সাদরুল ইসলামের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে তার এলপিসিতে বকেয়া বিল বাবদ অতিরিক্ত ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৮৫ টাকা পাইয়ে দেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের সামিল। তিনি যে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না এবং কার কতো টাকা বিলের বিপরীতে কতো টাকা নিতে হবে তিনি নিজ হাতে তার ব্যবহৃত ডাইরিতে লিখে রেখেছেন। ওই ডাইরি চেক করলেই কয়েক লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের তার প্রমাণ মিলবে।